উত্তেজনা কমাতে ফের ফোনালাপ সেরেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার দুই দেশের কৌশলগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। খবর ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরের
হোয়াইট হাউসের সূত্র দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। একইসঙ্গে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ন্যাটো গোষ্ঠীর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে।
বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রান্সের মান ভাঙাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, প্যারিসের হাত থেকে একপ্রকার সাবমেরিন বিক্রির বরাত ছিনিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চরম কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে।
যেহেতু ইউরোপে রাশিয়া ও চীনের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অনুপ্রবেশ রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সহযোগী ফ্রান্স। তাই এবার সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। হাতিয়ারের বাজারে মুনাফা বাড়াতে কয়েকশো কোটি ডলার মূল্যের ওই চুক্তি ফরাসি অস্ত্র নির্মাতাদের কাছে বড়সড় সুযোগ ছিল। কিন্তু গত মাসে আচমকা ওই চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশটি। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক আণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ চলে আসছে অস্ট্রেলিয়ার হাতে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই ফরাসি ডিজেল চালিত সাবমেরিন কিনতে নারাজ দেশটি। এভাবে মুখের গ্রাস ছিনিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন দিয়ে ফ্রান্সের ক্ষোভের মুখে পড়ে বাইডেনের দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকাকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারা’র শামিল বলে উল্লেখ করেছে তারা। সূত্র : ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন