সীমান্ত ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের মাঝেই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। পরমাণু বোমা বহণে সক্ষম এই ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেয়া হয়েছে ‘অগ্নি–৫’। ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটির সফল পরীক্ষাকে চীনের বিরুদ্ধে ভারতের একটি কড়া বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ওড়িশা উপকূলের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে অগ্নি–৫ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি একটি আইসিবিএম বা আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটিতে তিন স্তরের ইঞ্জিন রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সুনিপুণভাবে আঘাত হানতে পারে। এমনকি চীনের মূল ভূখণ্ডেও আঘাত হানতে সক্ষম এটি। তবে আক্রান্ত না হলে আগে ক্ষেপণাস্ত্রটির ব্যবহার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে ভারত সরকার।
পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ ভারতের কাছে অগ্নি–১ থেকে ৫ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (ডিআরডিও) তৈরি করা এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। অগ্নি সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ অগ্নি প্রাইম ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। গত জুনে ওড়িশার উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে চীনের একেবারে উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের সীমানার মধ্যে এল। অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণ করেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। সেগুলোর মধ্যে ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে অগ্নি-৫। আর অগ্নি-২–এর দুই হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। অন্যদিকে ভারতের দাবি, অগ্নি–৩ ও ৪ পাড়ি দিতে পারে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। সূত্র: ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন