“মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি” এই প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হলো কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার জনগণকে সাথে নিয়ে এ দিবসটি পালন করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশ। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল সারাদেশের ন্যায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের কমিউনিটি পুলিশের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ উদযাপন করা হয়।
রাজধানীর গুলশানস্থ পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের শুরুতে বর্ষসেরা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন জনপ্রতিনিধির নাম ঘোষণা করা হয়। পরে মূল আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা সভায় বর্ষসেরাদের অনুভুতি প্রকাশের পর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসসহ আরো কয়েকজন গুনি শিল্পী বক্তব্য রাখেন। এরপর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শীষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ প্রতিরোধের প্রথম বুলেট তারা নিয়েছে। সেই দিনের প্রতিরোধ ও তাদের রক্ত এদেশের মাঠিতে মিশেছে। পুলিশ আমাদের রক্তে মিশে আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের তাদের সেই প্রতিরোধ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১১ এর সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, কমিউনিটি পুলিশ সমাজকে পরিবর্তন করছে। নতুন সমাজ তৈরীর জন্য পুলিশ সবাইকে নিয়ে কাজ করছে। পুলিশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশ চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ, মাদকের আগ্রসন প্রতিরোধসহ নিত্য নতুন অনেক অপরাধ।
মাদক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, মোটরসাইকেলে করে মাদক বাসায় বাসায় সাপ্লাই দেয়া হয়। পরে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর পর এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ডিএমপিতে আবার নতুন করে ভাড়াটিয়াদের তালিকা হালনাগাত করা হবে। এতে এলাকাবাসীর সঙ্গে সমন্বয় করে এ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য থানা পুলিশকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। তা হলে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ করে ফেললে দোষী ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এখনকার পুলিশ জাতির জনকের স্বপ্নের পুলিশ। জনগণের সেবা দেয়া, জঙ্গিবাদ দমন করা, মাদক নির্মূলে কাজ করে পুলিশ এখন জনগণের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। জাতির জনকের স্বপ্নের দেশ গঠনে পুলিশ বাহিনী অনেক ভূমিকা রাখছে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশে পরিণত হবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন