শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নির্বাচনী খিচুড়ি নিয়ে শিশুদের ঝগড়ার জেরে বোনজামাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঘবেড় বালুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩০ বছর বয়সী যুবকের নাম রুমান মিয়া। তিনি বালুরচর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। অভিযুক্ত ২৮ বছর বয়সী সোলায়মান সম্পর্কে রুমানের সম্বন্ধি।
নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাতে ইউপি নির্বাচনী প্রচারে এক প্রার্থীর খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। ফ্রিজে রেখে দেওয়া ওই খিচুড়ি পরদিন শনিবার বিকেলে রুমানের ছোট ভাই ভাষাণীর ছয় বছর বয়সী মেয়ে বর্ষাকে খেতে দেওয়া হয়। খিচুড়ি হাতে নিয়ে প্রতিবেশী মানিক মিয়ার বাড়িতে যায় বর্ষা। এ সময় মানিকের তিন বছরের ছেলে তার খিচুড়ি ফেলে দেয়।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রুমানের বাবা ও সোলায়মানের সহোদর বোনের শ্বশুর আজিজুলকে আঘাত করেন মানিকের ভাতিজা অটোচালক সোলায়মান। এর প্রতিবাদ করতে গেলে সোলায়মানের সঙ্গে রুমান ও তার ভাইয়ের ঝগড়া বাধে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মস্তুফার ছেলে এসে রোববার বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে চলে যান।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাঘবেড় বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন রুমান। বালুরচর মসজিদ এলাকার কাছে আসতেই তার গতিরোধ করেন সোলায়মান। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেলে চলে যান। এ সময় পথচারীরা রুমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুমানের দেড় মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, লাশ উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত রুমানের বাবা আজিজুল হক। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন