ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিহান হোসেন (২০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে । অপর দিকে আলমগীর হোসেন নামের আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর ভাগ্যেশ্বরী এলাকার আব্দুর সফুরের পরিত্যক্ত বাড়িতে।
আজ সোমবার ভোররাতে নিহতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
আজ বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার আমছিমৈর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সিহান হোসেন, মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর একই গ্রামের রুবেল নির্বাচনি প্রচারণা শেষে গতকাল রবিবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে তাদেরকে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করে আসছিল ইমরান হোসেন নামের এক যুবক। গতিবিধি ভালো মনে না হওয়ায় রুবেল মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। কিন্তু সিহান ও আলমগীর ইমরানের ফোনে ঘটনাস্থলে যান।
ইমরান নিজে ঢেকে নিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে সিহান ও আলমগীর হোসেনকে পিটিয়ে হাত -পা ভেঙে দেয় ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে পথিমধ্যেই সিহান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে শরীফ নামের একজনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে।আবার কেউ বলেন,সফুরের পরিত্যক্ত বাড়িতে নেশা করতো। নেশার ঘটনায় এমন হত্যাকান্ড হতে পারে।
নিহত সিহান হোসেনের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, গত বছরও এরা আমার পুকুরের মাছ সব মেরে ফেলেছিল।এবার আমার আমার সন্তানকে মারলো।এই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় থানা চত্ত্বরে । তবে সফুরের পরিত্যক্ত বাড়িতে সব সময়ই নেশার আড্ডা জমতো।কেউ কিছু বলতে সাহস করতো না।
তবে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মজিদ বলেন, যদিও ঘটনাটি আমার ইউনিয়নে। কিন্তু আমার বাড়ি অনেক দূরে। তবে নিহত সিহান নৌকা প্রতীকের একজন কর্মী ছিল।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন,নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ না হলে কিছুই বলা যাবে না।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতার বা মাদক সংক্রান্ত হতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে শরীফ নামে এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন