ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি নেতারা। সভা-সমাবেশ ও কর্মিসভা করতে গিয়ে যেন পুলিশি হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন কমিশনারকে। কমিশনার তাদের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে পুলিশের শর্তগুলো মেনে চলার কথাগুলোও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আজ দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি নেতারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা শেষে তারা বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপি নেতারা বলেন, ডিএমপি কমিশনার সবার জন্যই। তাই সরকারি দল সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে যেসব অধিকার ভোগ করছে, তাদেরও সেই অধিকার দেওয়া উচিত। ডিএমপি কমিশনার এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আবদুস সালাম বিএনপির সভা-সমাবেশে কী ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে- তার উদাহরণ দিয়ে বলেন, মহানগর দক্ষিণে নয়াবাজারে বিএনপির নিজস্ব কার্যালয় আছে। ওই কার্যালয়ে অনুষ্ঠান ছিল। আগে থেকে পুলিশকে জানানোও হয়েছিল। তারপরও পুলিশ অনুষ্ঠান করতে দেয়নি। তিনি বলেন, একবার ভেবে দেখেন তো- আমি আমার নিজের বাড়িতেও প্রোগ্রাম করতে পারবো না! আমানউল্লাহ আমান বলেন, নাখাল পাড়ায় গুম হওয়া নেতা সুমনদের বাড়িতে আমরা তার অসুস্থ আম্মাকে দেখতে গিয়েছিলাম। মিলাদ মাহফিল চলছিল। সেখান থেকেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। সুমনের অসুস্থ আম্মা হাত দিয়ে আখতারুজ্জামানকে ধরে রেখেছিলেন। সেখান থেকেও তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
থানায় অবহিত করে কর্মসূচি দেওয়ার পরও নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কর্মিসভাগুলো যেন নির্বিঘ্নে করতে পারি সে দাবি জানাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। কর্মিসভা ছাড়াও আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভা রয়েছে। এছাড়া বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুবার্ষিকীতে উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি স্মরণ সভা করতে চায় দলটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন