গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এ সরকার বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। জবাবদিহিতা নেই বলে যা খুশি তাই করছে। ২০১৬ সালে গাইবান্ধায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ওপর গুলি চলেছে। এখন মন্দিরে হামলা হচ্ছে। তেলের দাম বাড়িয়েছে, নিত্যপণ্য ও খাদ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। এ অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের ভূমি উদ্ধার আন্দোলনের ৫ বছর এবং এই ঘটনার বিচারের দাবিতে ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটির আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জনগণের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন সহজে থামবে না। গাইবান্ধায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ওপর গুলিতে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই এলাকার আন্দোলনরত সকল নাগরিককে বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে যখন সরকারিবাহিনী আপনাদের ওপরে গুলি চালালো তখন আমরা ভেবেছি গুলিতো গোবিন্দগঞ্জের মানুষের ওপর হয়েছে, উপজাতিদের ওপরে হয়েছে। আমার তো কিছু হয়নি। কিন্তু ২০১৬ সাল গেল, ২০২১ সালে পীরগঞ্জের কাহিনী গেল। কালকে থেকে কি হলো? আমরা যারা সুখে ছিলাম তাদের গাড়ি-ঘোড়ায় চলা বন্ধ হয়ে গেছে। তেলের দাম বেড়েছে। খাবার দাম বেড়েছে। এই যে অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সেটা সহজে থামবে না।
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য প্রদান করেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুজ্জামান, বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনিরুদ্দীন পাপ্পু, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী নারীনেতা মেনা হেমব্রং প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের লিখিত-সংহতি বক্তব্য পাঠ করেন বিশিষ্ট শিল্পী বীথি ঘোষ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটির অন্যতম সদস্য জাকিয়া শিশির।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন