ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামের মডেল ইউনিট হবে ঘোষণা করে উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, একটি সফল আন্দোলনের জন্য দরকার নেতাকর্মীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য। অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সকল সময় তৃণমূল কর্মীদের পাশে আছে এবং থাকবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে তৃণমূলকে সংগঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

ঢাকা মহানগর উত্তরের দারুস সালাম থানার ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা, স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে এই ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ সিদ্দিক সাজুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। দারুসসালাম থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান মৃধার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মিরপুর জোনের সাংগঠনিক টিম প্রধান ও মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন আব্দুল, হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, তুহিনুল ইসলাম তুহিন, আহসান উল্লাহ চৌধুরী হাসান, হাফিজুল হাসান শুভ্র।

কর্মী সম্মেলনে ৯ ও ১০নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের নিজ নিজ সাংগঠনিক পরিচয় তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন পর নিজ নিজ ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ৯ নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মামুন, ইকবাল হোসেন স্বপন, আবু সাঈদ দীপু, সৌরভ, বাচ্চু, ইকবাল, জিয়া, ফরুক এবং ১০ নং ওয়ার্ডের সোহেল খান, আলমগীর হোসেন ভুট্টো, এস,এম, মিরাজ ইমন, মোশাররফ হোসেন রতন, হাজী রমজান হোসেন রঞ্জু বক্তব্য রাখেন।

তৃণমূল সংগঠিত ও শক্তিশালী হলেই রাজপথের আন্দোলন সফল হবে বলে মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন, সেই আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকবে ঢাকা মহানগর উত্তর। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির লক্ষ্যই হচ্ছে তৃণমূলকে সংগঠিত করা। সকল পর্যায়ের নেতৃত্ব হবে তৃণমূল কর্তৃক নির্বাচিত। দল, দেশ ও জিয়া পরিবারের কাছে বিশ্বস্ত নেতৃত্বকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে থানার সভাপতি এস এ সিদ্দিক সাজু উপস্থিত নেতৃবৃন্দ কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতে একটি সুসংহত ও শক্তিশালী সংগঠন উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।