টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম চার বোলারের সবাই রিস্ট স্পিনার। প্রথম দশে আছেন ছয়জন। চলতি বিশ্বকাপেও পেসারদের পাশাপাশি আধিপত্য দেখাচ্ছেন লেগ স্পিনাররাই। প্রায় সব দলে লেগ স্পিনার থাকলেও বাংলাদেশ এই ঘাটতিতে ভুগেছে বিস্তর। এই চিত্র অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত পরের বিশ্বকাপেও বদলানোর সম্ভাবনা দেখছেন না খালেদ মাহমুদ সুজন। জাতীয় দলের নতুন টিম ডিরেক্টরের মতে, দেশে নেই সেই মানের কোন লেগ স্পিনার।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রিজার্ভ তালিকায় ছিলেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তাকে ওমানে প্রস্তুতি পর্বে নিয়ে গেলেও বিশ্বকাপে রাখা হয়নি দলের সঙ্গে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেন এমন লেগ স্পিনারদের মধ্যে আছেন জুবায়ের হোসেন লিখন, রিশাদ হোসেন ও মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। এরমধ্যে লিখনের আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের হয়ে ৬ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে আর ১ টি-টোয়েন্টিতে থেমে আছে তার ক্যারিয়ার। ৬ টেস্টে লিখন নিয়েছেন ১৬ উইকেট। এরমধ্যে আছে একটি পাঁচ উইকেটও। ২০১৫ সালে দল থেকে বাদ পড়ার পর তার দিকে আর নজর দেয়নি বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় না লিখনদের। টি-টোয়েন্টিতে বিপ্লব বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৭টি। সর্বশেষ খেলেছেন ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তাকে নিয়েও বিসিবির পরিকল্পনা পরিস্কার নয়।
গতকাল বিসিবি একাডেমি মাঠে লেগ স্পিনার নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে সুজন বললেন, ‘আগামী বিশ্বকাপে তেমন কিছু হচ্ছে না, তবে লেগ স্পিনার তৈরি করার চিন্তা তাদের, ‘আগামী বিশ্বকাপে সম্ভাবনা নেই (লেগ স্পিনার খেলানোর)। হুট করেই লেগ স্পিনার তৈরি করা যাবে না। আমাদের ওই মানের লেগ স্পিনার তো নেই। আমাদের খুব ভাল মানের লেগ স্পিনার যে বাংলাদেশে আছে তাও কিন্তু না। ভাল মান থাকলে সবাই খেলানোর চিন্তা করত। আমাদের যদি (অ্যাডাম) জাম্পা থাকত বা (ইশ) সোধি থাকত তাহলে ভাবা যেত। কিন্তু আমরা এখানে উন্নতি করতে পারি। আগামী জাতীয় লিগে লেগ স্পিনার যুক্ত করব এবং বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে লেগ স্পিনার খেলাতে হবে। লেগ স্পিনারদের ম্যাচ খেলানোর ব্যবস্থা করা জরুরি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন