শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পরিবহন ভাড়া বাড়ানো নিয়ে যা বলছেন নেটিজেনরা

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৮:১৪ এএম

সরকার কর্তৃক জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ধর্মঘটের মুখে পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা।

জানা গেছে, দূরপাল্লার বড় বাসে কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে। আর মহানগরে কিলোমিটার প্রতি ৪৫ পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে যেসব গাড়ি সিএনজিতে চলে সেসবের ভাড়া বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।

এ বিষয়ে মো. রাসেল বিন নূর ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘যাক অবশেষে জনগনের পকেট কেটে সরকারের স্বস্তি ... সবকিছু দামের চাপে জনগনের দাম মূল্যহীন....’

রুবিনা ইয়াসমিন রুবিনার প্রশ্ন, ‘ভাড়া বাড়লো, ধর্মঘট গেলো! জনগণের লাভ কি হলো?’

ক্ষোভ প্রকাশ করে এসকে মুসা আহমেদ লিখেছেন, ‘একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম তুঙ্গে, অপরদিকে আবার গণপরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তির সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড় করালো! মানুষ কি এখন ব্রিজ আর মেট্রোরেল খেয়ে বাঁচবে?’

শবনাম কামরুন লিখেছেন, ‘সবারই ধর্মঘট আছে, শুধু সাধারণ মানুষের ধর্মঘট নাই। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা .....’

মুহাম্মদ জুয়েল মিয়া লিখেছেন, ‘দিনশেষে সাধারণ মানুষের নিরবে বুকভাটা আহাজারি!’

মামুন হোসাইনের জিজ্ঞাসা, ‘এই অরাজকতার শেষ কোথায়?’

উদ্বেগ জানিয়ে শহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘ভোগান্তি আমাদের, দায়ও আমাদের। কারণ আমরা জনগন, দেশের মালিক না। দেশের মালিক সরকার আর তাদের দোসররা। আজ রাজনীতি ব্যাবসায়িরা কিনে নিয়েছে।’

এ এন নোমানের মন্তব্য, ‘সরকারও খুশি বাস মালিকেরাও খুশি। মাঝখানে আমারা জনগনের বাঁশ!’

ফয়সালের প্রার্থনা, ‘ইয়া আল্লাহ্, আপনি এই অরাজকতার পরিস্থিতি থেকে এ দেশের মানুষকে রক্ষা করুন।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৯:১০ এএম says : 0
তার পরও জনগণের চোখ খুলবে না,জনগণ বুঝবে না যে আমাদের দেশে যে দলীয় চৌরাচার সংসদীয় কি জন্য করেছেন,বর্তমানে জনগণ কিছু না,জনগণের হাতে কিছুই নেই,যদি রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি থাকত তাইলেই জোর গলায় কথা বলতে পারতেন,এখন আর জনগণের সেই দিন নেই,1990এর পরে সেটি কেড়ে নিয়ে গেছেন।
Total Reply(0)
আলীনূর ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৪৬ এএম says : 0
বাংলাদেশ সরকার এখন আর জনগণ নিয়ে ভাবেনা তারা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হতে পারে তাই তো জনগণের ভোগান্তিতে তাদের যায়ও না আসেওনা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন