বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বগুড়ায় এবার মরিচের বাম্পার ফলনের আশা

হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম উপাদান

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বন্যা পরবর্তী বাজারে কাঁচা মরিচের বেজায় দাম। আর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমিতে মরিচের চাষ শুরু হয়। সেই গাছ এখন বেশ বড় হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে মরিচ গাছে ফুল আসবে এবং ফুল থেকে বের হবে মরিচ।
এদিকে গাছ বড় হওয়ার পরই শুরু হয়েছে পরিচর্যা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মরিচ ক্ষেতে সময় পোর করছেন চাষিরা। আর বাজার মূল্যের কারনে বগুড়া অঞ্চলে বেড়েছে মরিচের চাষ। মাঝখানে মরিচ চাষে অনীহার কারনে দেশ একচেটিয়া ভারতীয় মরিচ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। বগুড়াসহ চার জেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিসহ বগুড়ার আঞ্চলিক কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্টরা।
বগুড়ার পাইকারি বাজারের মহাজনদের মতে, বগুড়া অঞ্চলে মরিচের আবাদ আরেকটু বাড়ানো গেলেই আর ভারতীয় মরিচের ওপর দেশকে নির্ভর করতে হবে না। পাশাপাশি বেঁচে যাবে লাখ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা।
বগুড়ার আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া কৃষি অঞ্চলে এবার ৯ হাজার ৮৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উল্লেখিত জমিতে মরিচের আবাদ হলে শুকনো মরিচ উৎপাদন হবে ২৩ লাখ ৫৪৮ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৭ হাজার ১০০, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৬৩৬, পাবনায় ৮০০ এবং জয়পুরহাটে ৩২০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বগুড়ার ডিডি এগ্রিকালচার দুলাল হোসেন বলেছেন, বগুড়ার বিখ্যাত ঝাল মরিচের কদর এখন বিশ্বব্যাপী। বিশেষ করে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে বসবাসকারি বাংলাদেশি ভোক্তাদের কাছে বগুড়ার মরিচের চাহিদা অনেক বেশি। আর এই চাহিদার কথা চিন্তা করে মরিচ রফতানির ব্যবস্থা করা হলে বগুড়ার মরিচ হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম উপাদান।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন