উত্তরপ্রদেশে একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর মুসলিম যুবক আলতাফকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ জানিয়েছে, আলতাফ আত্মহত্যা করেছে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জের কোতয়ালি থানায় ২২ বছরের যুবক আলতাফের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার আলতাফকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কিছুক্ষণ পর পুলিশ জানায়, আলতাফ বাথরুমে গিয়েছিল। সেখানেই নিজের জ্যাকেটের দড়ি খুলে পানির পাইপের সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করেছে। এরপর পাঁচজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল, স্থানীয় একটি পরিবারের ১৬ বছর বয়সি মেয়ে নিখোঁজ। সেই তদন্তের সূত্রেই পুলিশ আলতাফকে ধরে নিয়ে যায়। মেয়েটি ক্লাস টেনের ছাত্রী ছিল। পুলিশের একাধিক দল তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েও তাকে খুঁজে পায়নি। আলতাফের বাবা চাঁদ মিঞা জানিয়েছেন, তিনিই ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি থানায় যান। কিন্তু পুলিশ তাকে সেখানে থাকতে দেয়নি। পরে তিনি শোনেন ছেলে মারা গিয়েছে। প্রথমে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ তার ছেলেকে মেরেছে। পরে একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘আমি পুলিশ ও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। জানতে পেরেছি, আলতাফ আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ তাকে হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশের কাজে আমি সন্তুষ্ট।’ আলতাফের পরিবার এই আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, যে বাথরুমে আলতাফ আত্মহত্যা করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে কল ও পাইপ ছিল মাত্র ফুট তিনেক উঁচুতে। সেখানে কারো পক্ষে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। আলতাফের কাকা শাকির আলি বলেছেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কোনোমতে বেঁচে আছি। আমরা দাবি জানাবার মতো অবস্থায় নেই। তাকে যখন শেষ দেখেছি, সে বেঁচে ছিল। তারপর কী হয়েছে, আমরা জানি না।’পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন