ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির। বিষাক্ত বায়ুতে ছেয়ে গিয়েছে রাজধানীর আকাশ। কার্যত দমবন্ধ অবস্থা বাসিন্দাদের। এমত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টও। কী ভাবে এর থেকে পরিত্রাণ সম্ভব? শুক্রবার কেন্দ্রকে জরুরিভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরমার্শ দিল শীর্ষ আদালত।
এদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, প্রয়োজনে দু'দিনের লকডাউন করা হোক দিল্লিতে।’ সোমবারের মধ্যে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই দূষণের চাদরে ঢেকে গিয়েছে দিল্লির আকাশ। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, 'আপনারা দেখুন পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এমন কী বাড়িতেও আমাদের মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। আপনারা বলুন কী ভাবে এর প্রতিকার সম্ভব? জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কেন্দ্র। দু'দিনের লকডাউন করা হোক প্রয়োজনে। বাতাসে দূষণের মাত্রা কমাতে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানানো হোক।’
উল্লেখ্য, এদিন রাজধানীর বাতাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা কেন্দ্রের তরফ থেকেও আদালতে স্বীকার করে নেওয়া হয়। জানানো হয়, দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া এখন দিনে ২০টি সিগারেট খাওয়ার সমান। এর মধ্যেই পঞ্জাব সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য, 'আমরা খড় পোড়ানো বন্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
গত চার-পাঁচ দিনে যে পরিমাণ বাতাস দূষিত হয়েছে তার মূল কারণ হল এই খড় পোড়ানো। এর উত্তরে অবশ্য কার্যত ভর্ৎসনাই করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আপানারা এভাবে কেন দেখাতে চাইছেন যেন কৃষকদের জন্যই দিল্লির বাতাস দূষিত হচ্ছে? আপানার দূষণ রোধে কী ভূমিকা পালন করেছেন? আমি জানতে চাইনা কেন্দ্রের দোষ না রাজ্যের? আপানারা বলুন দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আর সেটা যেন মাত্র দু-তিন দিনের জন্য না হয়।' কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, 'আমরা কখনই কৃষকদের উপর একমাত্র দোষ চাপাচ্ছি না।’ সূত্র: এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন