নগরীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এক যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দিলেন বাস চালকের সহকারী। শুক্রবার রাতে লালখান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বাসভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাস থেকে যাত্রী আব্দুল হামিদকে (৫১) ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ওই বাসের চালক মো. হাসান (২৮) এবং সকালে তার সহকারী মো. আশরাফকে (১৮) গ্রেফতার করে। গতকাল শনিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জানা গেছে, যাত্রী আব্দুল হামিদ ওয়াসার মোড় থেকে কাছেই লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত পাঁচ টাকা ভাড়া দেন। কিন্তু সহকারী আট টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে হামিদের তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাকে বাস থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, নগরীর বহদ্দারহাট থেকে পতেঙ্গা সৈকতগামী ১০ নম্বর রুটের বাসের যাত্রী ছিলেন আব্দুল হামিদ। ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে হামিদকে লাথি দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেন বাস চালকের সহকারী। এরপর বাসটি টাইগারপাসের দিকে এগিয়ে যায়। বাসের অন্যযাত্রী ও স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। যাত্রী আব্দুল হামিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা টাইগারপাসে বাসটি ঘিরে রাখে। আমরা চালককে আটক করি। কিন্তু সহকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সকালে ফের টাইগারপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশরাফকে আটক করা হয়। ওই যাত্রী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, এই মামলায় চালক ও সহকারীকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। বাসযাত্রী আব্দুল হামিদ নগরীর রেলস্টেশন এলাকার বয়লার কলোনির বাসিন্দা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর বাস ভাড়া বৃদ্ধির সাথে সাথে নগরীর গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে রীতিমত নৈরাজ্য চলছে।
ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রতিদিনই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। সিএনজি চালিত যানবাহনেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েও নির্ধারিত গন্তব্যে যাচ্ছে না বাস, মিনিবাস। যাত্রীদের মাঝ পথে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএর পক্ষ থেকে ভাড়া নৈরাজ্য রোধে নানা হম্বিতম্বি করা হলেও বাস্তবে এসব দেখার যেন কেউ নেই। পরিবহন শ্রমিকদের কাছে যাত্রীরা এখন জিম্মি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন