সিলেটের বিশ্বনাথে স্কুল ছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি খুনি সাইফুলকে ৫দিনের রিমান্ডে থানায় আনা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক। সুমেল হত্যা মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের সময় নিয়ে এসে ২৯ সেপ্টেম্বর শাহপরাণ থানায় বন্দুকটি জমা দেয় সাইফুল। ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধা ৭টায় শাহপরাণ থানা থেকে বন্দুকটি জব্দ করে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের আজ ৩য় দিন। অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে কোন তথ্য দিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, আসামীর এখনও রিমান্ড শেষ হয়নি। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাবে না।
একটি সূত্র মতে, একটি প্রভাবশালী মহল সাইফুলকে সহায়তায় নানামূখী চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। বাদী পক্ষ সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাবী জানিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গ, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী চৈতননগর গ্রামের ছরকুম আলী দয়াল নিজ কৃষি জমিতে কাজ করার সময় সাইফুল ও তার বাহিনীর বন্দুকের আঘাতে দয়ালকে হত্যা করে এবং ১মে স্কুলছাত্র সুমেলের চাচার জমি থেকে মেশিন দিয়ে সাইফুল ও তার বাহিনীর জোরপূর্বক মাটি কাটা শুরু করলে জমির মালিকরা বাধা দিলে পরিকল্পিতভাবে খুনিরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় সুমেল সহ ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকে। গত ২১ অক্টোবর বাদী পক্ষ ঢাকার সেগুনবাগিছার একটি ১১তলা ভবন থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী খুনি সাইফুলকে আটক করে রমনা থানায় হস্থান্তর করে। পরে বিশ্বানথ থানা পুলিশ সাইফুলকে থানার নিয়ে আসেন এবং আদালতের ম্ধ্যামে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন