যারা এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে তাদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আমরা চাকরি করি মানুষের নিরাপত্তার জন্য, শান্তির জন্য। শীতকাল তথা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়, বেড়ে যায় টানা পার্টির দৌরাত্ম্য। এজন্য আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। গতকাল রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ।
বক্তব্যের শুরুতে করোনায় গত শনিবার বাংলাদেশে কেউ মারা না যাওয়ায় মহান রব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করে কমিশনার বলেন, দেশে করোনার শুরুতেই আমরা ফ্রন্টফাইটার হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যেভাবে পেরেছি সাধ্যমতো দেশের মানুষের সেবা করেছি। মিডিয়াতে তা ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় পুলিশ সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কেউ মারা না যাওয়ায় আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। কেননা এরই মধ্যে উন্নত দেশে আবারও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এজন্য আমাদের সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাস, আমাদের বিজয়ের মাস। এ মাসেই উদযাপিত হবে মুজিব শতবর্ষ। এজন্য ডিএমপির কোথাও যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব উপ-পুলিশ কমিশনার ও অফিসার ইনচার্জরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। টিম ডিএমপি অপরাজেয়, এ বিশ্বাস যেন সবার থাকে। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্টোবর মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন