বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান কি তার দীর্ঘ নীরবতা ভাঙবেন? আইনি পদক্ষেপের জন্য কি লিগ্যাল টিমকে প্রস্তুতি নিতে বলবেন? ২৮ অক্টোবর ছেলে আরিয়ান খান জামিনে মুক্তির পর মাস হতে চলল। এখন এটা পরিষ্কার যে আরিয়ানকে গ্রেফতারের কোনো প্রকৃত ভিত্তি ছিল না।
মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) ষড়যন্ত্রের যেসব অভিযোগ এনেছিল; সেগুলোর প্রাথমিকভাবে কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্ট। ১৪ পৃষ্ঠার জামিন আদেশে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে এনসিবির তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেয়া হচ্ছে। হাইকোর্ট জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন শুধু সেই ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি। আরবাজ ও মুনমুনের কাছ থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। আপাতত যা তদন্ত হয়েছে, তা থেকে উঠে এসেছে যে মুনমুনের সঙ্গে যাননি আরিয়ান ও আরবাজ। পাশাপাশি আরিয়ানের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জামিনের আদেশে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
এবার বলিউডভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামার খবর, কেন আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হলো- শাহরুখ খানের লিগ্যাল টিম এনসিবির মুম্বাই প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে এ প্রশ্ন তুলতে পারে, যিনি আরিয়ান ও তার বন্ধুদের গ্রেফতারের মাস্টারমাইন্ড।
খান পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পোর্টালটিকে জানিয়েছেন, আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনজীবী দলের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিতে পারেন শাহরুখ খান। এর আগে আরিয়ান খানের মাদক মামলার প্রধান তদন্তকারীর দায়িত্ব হারান সমীর ওয়াংখেড়ে। মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার দেখায় এনসিবি।
এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় আসেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে মামলা মীমাংসা, অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী জোগাড়, জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি নেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। সূত্র : বলিউড হাঙ্গামা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন