বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার প্রদানের দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে রাজশাহী মহানগর যুবদলের আয়োজনে নগরীর কাদিরগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনে থেকে বিএনপি, যুবদল ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিল নিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময়ে তারা বেগম জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবীতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে নগরীর বাটার মোড়ে সমাবেশের জন্য দাঁড়ালে পুলিশ তাদের বাধা দেন।
সেখানে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে তারা সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন। মিছিল পরবর্তী সামবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের বকুল। রাজশাহী মহানগর যুবদল সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবির সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও শাহমুখদুম থানা যুবদলের ১নং যুগ্ম- কামরুজ্জামান মিলন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক তোরাব আলী পারভেজ, শাহমুখদুম থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশরাফ আলী।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার প্রদানের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে রাজশাহী জেলা যুবদলের আয়োজনে নগরীর অলোকার মোড়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অুনষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পূর্বে বিএনপি, যুবদল ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা মিছিল নিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
পরে রাজশাহী জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমানের সজনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুলের সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, রায়হানুল আলম রায়হান, গোলাম মোস্তফা মামুন, রফিকুল ইসলাম রফিক, তোফায়েল হোসেন রাজু, আমিনুল হক মিন্টু, সদর আলী, পুঠিয়া বিএনপির আহবায়ক আবু বাক্কার সিদ্দিক, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আলামিন সরকার টিটু, সদস্য সচিব নাজমুল হক, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম প্রিন্স, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন।
প্রধান অতিথি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাঁর গলা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এছাড়াও নানাবিধ জটিল রোগে তিনি আক্রান্ত। বিদেশে না নিলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর কোন রকম দূর্ঘটনা ঘটলে এই দায় সরকারকে নিতে হবে। সেইসাথে দেশব্যাপি অরাজকতার সৃষ্টি হলে সে দায়ও সরকারের উপর বর্তাবে বলে কক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সরকার প্রধান আইন দেখাচ্ছেন। নিজেদের সামান্য কিছু হলে লন্ডন, আমেরিকাসহ অনান্য দেশে চিকিৎসা নিতে যান। তখন তারা দেশের ডাক্তারের উপর ভরসা করতে পারেন না। অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে এই রাতের অন্ধকারের সরকার নানাবিধ টালবাহানা করছে, যা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা দাবী এবং বেগম জিয়াকে বিদেশে না পাঠানো পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি আইন শৃংখলাবাহিনীর দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সরকার ও তার শরিকরা নগরীতে মিছিল, সভা ও সমাবেশ করলে তাদের পাহারা দিয়ে সব কিছু করতে দেয়া হয়। আর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সমাবেশ ও মিছিল করার কথা শুনলে গায়ে ফোসকা পড়ে যায়। তাদেরকে গায়ে পানি ঢেলে শান্ত থাকার আহবান জানান তিনি। সেইসাথে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আবারও জোর দাবী জানান। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন