যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের ঋষিপাড়ার কার্তিক বাদী হয়ে রোববার (২৮ নভেম্বর) আদালতে এ মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছা ছুটিপুর গ্রামের রবির ছেলে ও নিহতের স্বামী মিলন (৩৮) ও তার ভাই রাখাল (৩৪)।
মামলা বাদী উল্লেখ করেন, ১১ বছর আগে মিলনের সাথে বাদীর মেয়ে সূচরিতার বিয়ে হয়। এরপর মিলন তার শ্বশুরের কাছে থেকে ব্যবসার জন্যে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
কিন্তু শ্বশুর কার্তিক যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় মিলন সূচরিতাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। এরমধ্যে সূচরিতা দু’সন্তানের মা হয়। তবুও যৌতুকের জন্যে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে মিলন।
একপর্যায়ে গত ২০ নভেম্বর রাতে যৌতুকের দাবিতে মিলন ও তার ভাই রাখাল সূচরিতাকে প্রচুর মারপিট করে অজ্ঞান করে ফেলে। পরেরদিন জ্ঞান ফিরলে রাখাল হাত-পা বেঁধে মিলন তার বাঁচ্চার সামনে মুখে বিষ ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
মৃত্যুর খবর শুনে তার মেয়ের লাশ দেখতে কার্তিক গত ২২ নভেম্বর সকাল নয়টায় যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। এ সময় মর্গে লাশ দেখতে গেলে আসামিরা তাকে বাঁধা দেয়।
কার্তিক ঐ দিন বিকেলে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এ কারণে বাধ্য হয়ে রোববার ভিকটিমের বাবা কার্তিক আদালতে মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন