কয়রা উত্তর চক কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও খুলনা জেলার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দানবীর প্রিন্সিপ্যাল আলহাজ মোস্তফা আব্দুল মালেক এখন অবসরে।
কয়রা উত্তর চক ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার থেকে যার অবদানে ৪০ বিঘা জমির উপর ৭টি প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আলহাজ মোস্তফা আব্দুল মালেকের জন্ম ১৯৬১ সালে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার পর সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসা থেকে ফিকহ বিষয়ে কামিল পাশ করে যশোর হাবিবুল্লা মাদরাসা থেকে প্রশিক্ষণ নিয় ১৯৮৬ সালে কয়রা উত্তর চক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল হিসবে যোগদান করেন।
দীর্ঘ ৪১ বছর ৬ মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দক্ষিন খুলনার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী বহুল পরিচিত কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বাবা, মা, কন্যা ও স্ত্রীসহ আত্মীয় স্বজনের নামে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জন্ম লগ্ন থেকে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তিনি বর্তমান কয়রা উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রিন্সিপাল আলহাজ আব্দুল মালেক ১৯৮৪ সালে ইবতেদায়ী মাদরাসা, ১৯৯২ সালে মায়ের নামে কয়রা আছিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা, ২০০৭ সালে উত্তর চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবার নামে ২০০৫ সালে ইয়াতিমখানা, ১৯৮৫ সালে দাদার নামে হেফজখানা, ১৯৯০ সালে কওমি মাদরাসা ও ১৯৮০ সালে মাদরাসা সংলগ্ন জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। তিনি এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু থেকেই দেখ ভাল করে আসছেন।
গত ১০ নভেম্বর এ সংবাদদাতা কয়রা উত্তর চক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসাসহ ৭টি প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখলেন। বড় বড় অট্রালিকার পাশাপাশি ইদানিং নির্মিত হচ্ছে ৮ কোটি টাকার ২টি ৪ তলা শিক্ষা ভবন। যার ১টি উত্তরচক কামিল মাদরাসা এবং অপরটি কয়রা আছিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার একাডেমিক ভবন। এ সময় উক্ত মহিলা মাদরাসার সুপার মালেক সাহেবের ছাত্র মাওলানা মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ জানা যায় উত্তর চক কামিল মাদরাসায় বর্তমানে ১৬৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন