বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, বিএনপির সাবেক নারী এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে ‘মানসিক রোগী’ বলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সমালোচিত হোন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে।
বিশেষ করে গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করেন ঢাবি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী। শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুতা মিছিল ও তার কুশপুতুল দাহ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, তারা শিষ্টাচারের সংজ্ঞাটা আমাদের শেখাতে চাচ্ছে। তসলিমা নাসরিনের মতো অনেক তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ আছে, দুঃখ লাগে কোনটা জানেন? এরা আবার জয় বাংলার কথা বলে। এরা আবার ছাত্রলীগ করছে নাকি! এরা নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এরা নাকি আবার নেত্রী ছিল কোন কোন হলের। কেউ বলে শামসুন নাহার হল কেউ কেউ বলে রোকেয়া হল। বিভিন্ন হলের নাকি নেত্রী-টেত্রী ছিল। কিন্তু তারা রাতের বেলা নিজেদের হলে থাকতেন না। ঘুমাতেন হোটেলে হোটেলে। কারণ ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার মজা, আর রোকেয়া হল শামসুন নাহার হলে থাকাটা কি এক কথা? আমি এর চেয়ে বেশি বললে মিছিল শুরু হয়ে যেতে পারে। আমি আর বেশি কিছু বলব না।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ইউনিট ‘খ’ ইউনিটের প্রথম ৩০০ জনের মধ্যে ছিলাম। ভর্তি হওয়ার ৭ দিনের মাথায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের আমি বলতাম, তোদের ওইখানে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে) প্রসাব করার টাইমও আমার নাই।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন মঙ্গলবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন