পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী জনপদ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভোটারদের মধ্যে বেড়েছে উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক। গত শনিবার উপজেলার চাকামইয়া ও টিয়াখালী ইউনিয়নে চেয়াম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পৃথক দু’টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল। এতে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে চাকামইয়া ইউনিয়নে ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর ফকির, তার ভাই’র ছেলে রনি ফকির, হারুন মীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে টিয়াখালী ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুজন মোল্লার ভাই জামাল মোল্লাসহ তিনজনকে আটক করেছে। বর্তমানে ওই দুই ইউনিয়নে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোর বাজারে নৌকা ও ঘোড়া মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়কজন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে। এদিকে একইদিন দুপুরে টিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামের আকন বাড়ির সামনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন মোল্লার সমর্থকদের সাথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান শিমুর কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর করা হয় চারটি মোটরসাইকেল। পুলিশ এ ঘটনায় সুজন মোল্লার ভাই জামাল মোল্লা, পারভেজ ও শিমুলকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে চাকামইয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী হুমায়ুন কবির কেরামত বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বেতমোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রথম নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে কর্মীদের নিয়ে অফিসে বসা ছিলাম। এসময় ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর ফকির মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তার ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আহত মজিবর ফকিরকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই মোতালেব ফকির বলেন, এ হামলায় প্রার্থী মজিবর ফকিরের বাম পাশের চোখে রামদার কোপ লাগে। এছাড়া রনির দু’হাতে প্রায় ১০টিসহ মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২০টির বেশি রামদার কোপ লাগেছে। রনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, টিয়াখালী ইউনিয়নের ঘটনায় নৌকা মার্কার সমর্থক শামিম ফকির বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ ব্যাপারে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর চাকামইয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন