বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

‌খুলনায় সেনা সদস্য সাইফ হত্যা মামলায় ৮ জনের ফাঁসি

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২৬ পিএম

সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যার দায়ে ৮ আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন খুলনার আদালত। একই স‌ঙ্গে তা‌দের প্রত্যেক‌কে ৫০ হাজার টাকা জ‌রিমানা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। আজ বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ‌মোঃ নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনজন আসামি পলাতক ছিল।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হাকীমুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, মতিয়ার রহমান ওরফে ফই‌নে(পলাতক), কা‌শেম, আব্বাস, ডা‌লিম(পলাতক) ও মোক্তার (পলাতক)।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
আসা‌মি প‌ক্ষের আইনজীবী সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ ব‌লেন, ‘এ হত্যাকান্ডে কোন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নেই। শুধুমাত্র একজনের জবানবন্দির উপরে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ তার উপরে অমানবিক অত্যাচার করে জবানবন্দি নিয়েছেন। এ রায় আসামিদের উপর অবিচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখান থেকে আমরা ন্যায়বিচার পাব।’

২০১৮ সালে ১৮ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহের বংকিরা পশ্চিমপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দীনের দু’ছেলে সাইফুল ইসলাম সাইফ(সেনা সদস্য) ও মনিরুল ইসলাম ( নৌ সদস্য) বড় ভাইয়ের শ্বশুর সামসুল মোল্লাকে আনতে বদরগঞ্জ বাজারে যান। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ির পথে ফেরার সময় বেলতলারদাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তার ওপর গাছ দেখে বুঝতে পারে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতি করার জন্য রাস্তার মাঝে গাছ ফেলেছে। তারা তিনজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় ডাকাত দলের একজন সাইফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। সাইফের শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে জখম করে তারা। পরবর্তীতে ছোট ভাই মনির বংকিরা বাজার সংলগ্ন পুলিশ ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় বড় ভাইকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরেরদিন নিহতের পিতা অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে নেমে পুলিশ আটজন আসামির সম্পৃক্ততার খবর জানতে পারে পুলিশ। যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ মামলায় মো: আকিমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: মহসীন হোসেন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন