হাইতিতে মঙ্গলবার ভয়াবহ গ্যাস ট্রাক বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছেন। খবর এএফপি’র। হাইতির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপ-হাইতিয়েন নগরীতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, স্থানীয় একটি হাসপাতালে আহতদের কয়েকজনের সাথে সাক্ষাতের পর তার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে। পরে এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘এ মর্মান্তিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি তহবিল ছাড় দেয়া হয়েছে।’ এ বিস্ফোরণে আশেপাশের বিভিন্ন ভবনে আগুন ধরে যায়। ডেপুটি মেয়র প্যাট্রিক আলমোনোর বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’ তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোতে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। আলমোনোর জানান, এ ভয়াবহ গ্যাস ট্রাক বিস্ফোরণে ওই এলাকার প্রায় ৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব ঘরবাড়ির অভ্যন্তরে কেমন সংখ্যক লোকজন রয়েছে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এ দুর্ঘটনায় আহত রোগিতে জাস্টিয়েন ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল একেবারে ভরে গেছে। গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন ইতিহাসে এক দুঃস্বপ্নের দিন। ওই দিন মার্কিন প্রশাসনিক ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল ট্রাম্পপন্থিরা। ক্যাপিটলে ঢুকে তারা কাগজপত্র তছনছ করে দিয়েছিল। তাÐব চালিয়েছিল একাধিক অফিস এবং কংগ্রেসে। এবার সেই দাঙ্গার জন্য সরাসরি প্রাউড বয়েজ এবং ওথ কিপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল র্যাসিন। ওথ কিপারের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন তিনি। এই প্রথম কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমন মামলা করলেন। এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ওই দিনের হামলার পিছনে প্রাউড বয়েজ এবং ওথ কিপারের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সে কারণেই ওই দুই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করার জন্ এই মামলা করা হয়েছে। ক্যাপিটল হামলায় যে প্রাউড বয়েজ এবং ওথ কিপারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল, তা কার্যত পরিষ্কার। সে সময় তাদের করা বহু পোস্ট থেকেই জানা গেছে, তারা ওই হামলাকে সমর্থন করছে। শুধু তাই নয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাদের কার্যত সমর্থন করেছিলেন। বস্তুত, ঘটনার পর বাইডেনপন্থিরা হামলার জন্য ট্রাম্পের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। তার মন্তব্যের পরেই জনগণ ক্যাপিটলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে আদালতে মামলাও চলছে। ক্যাপিটল হামলার নথি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আদালত এ বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য নস্যাৎ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের মামলা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, অ্যামেরিকায় প্রাউড বয়েজ এবং ওথ কিপারের মতো অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনগুলোকে সরাসরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলা হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কানাডা অবশ্য প্রাউড বয়েজকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। দুইটি গোষ্ঠীই হেট স্পিচের জন্য বিখ্যাত। দুইটি গোষ্ঠীই হোয়াইট সু্প্িরমেসি বা বর্ণবাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ট্রাম্পের ইন্ধনে এরাই ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছিল বলে মনে করেন বহু বিশেষজ্ঞ। স¤প্রতি ওথ কিপারের এক সদস্য আদালতে নিজের দোষ স্বীকারও করেছে। তারপরেই অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলা করলেন। রয়টার্স, এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন