মাদারীপুরে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্কে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মেহের ও ঘটমাঝি ইউনিয়নের চোকদার বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া ই¯্রাফিল জমাদ্দার ঝিকরহাটি গ্রামের বাসিন্দা ও আরেক অভিযুক্ত ঘরমালিক সোহেল মাতুব্বর বড়মেহের গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তিন বছর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডের সৌদি প্রবাসী সোহেল মাতুব্বরের একটি দোকানঘর ভাড়া নেয় ই¯্রাফিল জমাদ্দার। আগামী পহেলা জানুয়ারি দোকানঘর ভাড়ার মেয়াদ (চুক্তি) শেষ হবে। এজন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ই¯্রাফিলকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দোকান খালি করে দিতে বলে মালিকপক্ষের ভায়রা (এমরান মোল্লা)। এ সময় ঘরমালিক পক্ষে এমরান ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে কথার কাটাকাটি এক পর্যায় এমরানের আত্মীয়রা এসে ই¯্রাফিলের মাথায় আঘাত করলে ই¯্রাফিলের লোকজন বড়মেহের এলাকার সরদার ও মিরা বাড়ী ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঝিকরহাটি সাথে বড়মেহের সরদার ও মিরা বাড়ী গ্রামবাসীরা মিলে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. শাহজালাল নামে এক রাজমিস্ত্রির ছেলের সুন্নতেখাৎনাু অনুষ্ঠানেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে নারীসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে পুলিশের টিম এখনো এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন