শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সবক শুনলে অবাক লাগে

দেশের মানবাধিকার নিয়ে আমেরিকার প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার হত্যাকান্ডের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত খুনিদের আশ্রয়দাতা আমেরিকার কাছ আমাদের আইনের শাসনের সবক শুনতে হয়, মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়, গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ন্যায়বিচারের কথা শুনতে হয়, সেটিই খুব অবাক লাগে। গতকাল মঙ্গলবার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ শীর্ষক মুজিব স্মারকগ্রন্থ এবং ‘ন্যায় কণ্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা, যারা সবসময় ন্যায়বিচারের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটাধিকারের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। এ পর্যন্ত আমেরিকার যত জন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন আমি সরকারে আসার পর তাদের প্রত্যেককে অনুরোধ করেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত দিতে। তাদের জিজ্ঞাসা করেছি- একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আপনারা কিভাবে আশ্রয় দেন? আপনাদের জুডিশিয়ারি সিস্টেম কিভাবে আশ্রয় দেয়? কিভাবে আপনারা একজন খুনিকে আশ্রয় দেন? খুনি রাশেদ এখন আমেরিকায়। আর নূরকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে কানাডা। তারপরও তাদের কাছ থেকে আমাদের আইনের শাসনের সবকও শুনতে হয়, গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ন্যায়বিচারের কথাও শুনতে হয়! সেটিই আমার কাছে খুব অবাক লাগে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন কায়েম হবে, আইনে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কি হয়েছিল? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেঁদেছে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইমডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস হলো। ওই খুনিদের কোনোদিন বিচার করা যাবে না। ওই হত্যার মামলা করা যাবে না এমন অধ্যাদেশ দেয়া হলো।
১৫ আগস্টের ঘটনা কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছিল উল্লেখ করে এক রাতে নিজের পরিবারের সবাইকে হারিয়ে দুই বোনের বেঁচে থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খুনের পর যদিও প্রথমে ক্ষমতায় এসেছিল আমার বাবার মন্ত্রিসভার মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক। সেটি সংবিধান লংঘন করেই তার ক্ষমতায় আরোহণ। কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক অফিসার ও জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। জিয়াউর রহমানের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে যে ষড়যন্ত্রকারী ছিল, তা এখনও বের করা যায়নি। আশা করি একদিন সেটিও বের হবে।
১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা গ্রহণের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে বেঈমান বা মোনাফেক যারা হয়, তাদের অন্য মানুষ ব্যবহার করে, কিন্তু কখনো রাখে না। আসল যে থাকে, সে থাকে পর্দার আড়ালে। পলাশীর ঘটনাও যদি দেখি, তখনও মীরজাফর ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে মিশে ষড়যন্ত্র করে বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব হওয়ার আশায়। সে কিন্তু তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনারাও একটু দেখবেন, খন্দকার মোশতাকও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। পর্দার আড়াল থেকে আসল লোক ক্ষমতা দখল করে চলে আসে; সেটি হলো জেনারেল জিয়াউর রহমান।
সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়ার ক্ষমতা দখল করে দল গঠন করাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আর্মি রুলস অ্যান্ড অ্যাক্টেও ছিল যে সেনাপ্রধান কখনো নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ঘোষণাই শুধু দেয়নি; এরপর গণভোট দিলো, হ্যাঁ-না ভোট দিলো। সেটির নামে একটা প্রহসন। তারপর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও করল। সেই নির্বাচন করেছিল সে তখন ঘোষিত প্রেসিডেন্ট প্লাস সেনাবাহিনী প্রধান। আমার প্রশ্ন গণতন্ত্রটা তাহলে কোথায়? তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেকেই তার পেছনে খুব বাহবা দিয়ে নেমে পড়ল, হাতে তালি দিয়ে গণতন্ত্র পেয়েছে? সেনাপ্রধান এবং ঘোষিত প্রেসিডেন্ট; আর্মি রুলস যেমন ব্রেক করল, সংবিধান লংঘন করল তারপর ইলেকশন মানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রহসন দিয়ে ক্ষমতায় এসে এরপর দল গঠন করে জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, দল গঠনের পর রাজনীতিবিদ হতে জিয়াউর রহমানের আর কোনো লজ্জা থাকল না। উর্দি খুলে তখন সেই দল গঠন। আর ক্ষমতায় উত্তরণ করে তারপর তার রাজনীতিতে আসা। তারপর দল গঠন করল। খুব স্বাভাবিকভাকে দল গঠন করতে গিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী, নির্বাচিত প্রতিনিধি যে যেখানে ছিল একেবারে সেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে সবাইকে চাপ দিয়ে দিয়ে তার দলে ভেড়ানো শুরু করে। আর যে দলে না ভিড়বে তাকে ভোগ করতে হবে অত্যাচার-নির্যাতন মিথ্যা মামলা। নির্যাতন করে করে অনেককে দলে ভেড়ানো হলো, কাউকে প্রলোভন দিয়ে, কেউ লোভে এলো, কেউ অত্যাচারিত হয়ে এলো, কেউ নির্যাতিত হয়ে এলো; এভাবে দল গঠন। সেই দলটাই হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করল।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সেখানে আবার শোনা গেল বহুদলীয় গণতন্ত্র? আর সেখানে নির্বাচনের সামনে প্রহসন। একটি দল জন্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলতে শিখল না, হাঁটতে শিখল না, এ-গাছের ছাল ও-গাছের বাকল দিয়ে একটি দল করে সেই দল আবার নির্বাচনে একেবারে টু থার্ড মেজরিটি (দুই-তৃতীয়াংশ) ভোট পেয়ে যায়! অর্থাৎ অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাকে ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে সেই ক্ষমতাকে কণ্টকমুক্ত করার জন্য একটা প্রচেষ্টা। আর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে খুনিদের বিচার না করা, বিচারহীনতার যে কালচার। আমরা কোনো একটা ঘটনা ঘটলে যেমন বিচারের জন্য যখন সকলে দাবি করে আমার তখন এটাই মনে হয়। আমরা যারা আপনজন হারিয়েছিলাম আমাদের তো ৩৬ বছর সময় লেগেছিল বিচার পেতে। সেটিও যখন আমরা বেঁচে ছিলাম, জানি না আল্লাহর ইচ্ছা! ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলাম বলেই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য আমরা আপিল করি। আমরা রিট করি, মামলা করা হয়, সে জন্য ধন্যবাদ জানাই উচ্চ আদালতকে। উচ্চ আদালত সেই জিনিসটা আমলনামায় নেন এবং সেটার ওপর এই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সটা বাতিল করেন। সে জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। যারা এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাহলে মামলা করার জন্য আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, আমাদের ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার বিচার চাওয়ার অধিকার হরণ করা হয়েছিল। আমার মতো যারা সবাইকে হারিয়েছিলাম। তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকারটা ছিল কোথায়? মৌলিক অধিকার কোথায় ছিল? মানুষের অধিকার কোথায় ছিল? আমি যদি বেঁচে না থাকতাম বা আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারতাম তাহলে কোনোদিন আর এই বিচার হতো না। এটিই হলো বাস্তবতা। কোনোদিনই বিচার হতো না। কেউ ছিল না, সাহস করে। সেই ইনডেমনিটি অর্থাৎ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে যেত। কিন্তু আমাদের সংবিধানে তো ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু সেই বিচার হয়নি, এটিই হলো বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সরকারে আসার পর বিচার হয়েছে। যদিও এই বিচারের রায় দিতে গিয়ে বা বিচার করতে গিয়ে অনেকেই উচ্চ আদালতে সেই সাহসটা পাননি, আমি জানি! একটা পর্যায়ে সরে গেছেন, কেন সেটা! তারপরও আমি বলব, এই বিচারের রায় আমরা পেয়েছি, এই বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এখনও কয়েকজন রিফিউজিটিভে আছে তারা পালিয়ে আছে। তাদেরও খোঁজা হচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা আমেরিকার মতো জায়গা, যারা সবসময় ন্যায়বিচারের কথা বলে। গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটাধিকারের কথা বলে, তারা মানবাধিকারের কথা বলে; কিন্তু আমাদের যে মানবাধিকার লংঘন হয়েছিল আমরা যে ন্যায়বিচার পাইনি, তারপর যখন এই বিচার হলো সেই খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে। আমি সরকারে আসার পর থেকে বারবার যতজন প্রেসিডেন্ট এসেছে প্রত্যেকের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি, একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আপনারা কিভাবে আশ্রয় দেন? আপনাদের জুডিশিয়ারি কিভাবে আশ্রয় দেয়? কিভাবে আপনারা একজন খুনিকে আশ্রয় দেন?
শেখ হাসিনা বলেন, যে খুনিটা ১৫ আগস্ট যখন আমার সেজো ফুফুর বাড়ি আক্রমণ করে সেখানে যে গ্রুপটা যায়, তার কমান্ডিং অফিসার ছিল ওই রাশেদ। সেই খুনি এখন পর্যন্ত আমেরিকায়। তাকে আজ পর্যন্ত কেউই ফেরত দিলো না। আমেরিকা গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে আর খুনিদের আশ্রয় দেয়, প্রশয় দেয় কেন? আমি জানি না! তারা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দেশ। আমি এতবার প্রত্যেক প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিয়েছি। বারবার তাদের অনুরোধ করেছি। আমরা বারবার চেষ্টা করেছি।
কানাডায় মেজর নূর, সে ছিল ৩২ নম্বরে হত্যাকান্ডের জন্য কমান্ডিং অফিসার। আর ফারুক ছিল ট্যাংকের দায়িত্বে। আর নূর ঢুকেছিল সেই ছিল কমান্ডিং অফিসার। অথচ নূরকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে কানাডা। আর খুনি রাশেদ এখনো আমেরিকায়। তাদের কাছ থেকে আমাদের আইনের শাসনের সবকও শুনতে হয়, গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ন্যায়বিচারের কথাও শুনতে হয়। সেটিই আমার কাছে খুব অবাক লাগে?
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্য্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি এবং স্মারক গ্রন্থ এবং স্মরণিকার সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান। মুজিব স্মারক গ্রন্থ এবং স্মরণিকার ওপর অনুষ্ঠানে ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রচারিত হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদ এবং বিজয়ের এই মাসে সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Maksuda Begum ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 2
Congratulations honorable prime minister sheikh Hasina mother of humanity model of Bangladesh nation's.Ideal daughter of Bangabandhu sheikh Mujibur Rahman.Her responsibility advancement to the country of Bangladesh nation's.joy Bangla joy Bangabandhu's.
Total Reply(0)
Orpita Mojumdar Reya Reya ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 2
We are really proud of you our honorable PM Sheikh Hasina. Thank you for keeping our faith and moving Bangladesh towards development.
Total Reply(0)
Arion Arion Arion Arion ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 3
Bangladesh is already a middle-income country and Prime Minister Sheikh Hasina, the mother of humanity, is moving forward with the goal of becoming a developed and prosperous country by 2041.
Total Reply(0)
Sakil Khan ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 2
Prime minister Sheikh Hasina has played a significant role in providing healthcare to the rural population at low cost.
Total Reply(0)
Laxmon Dhar ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪১ এএম says : 2
Bangladesh is marching towards the fourth industrial revolution because Bangabandhu's daughter Sheikh Hasina is leading.
Total Reply(0)
Takib ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪১ এএম says : 2
Development is not only a word. It's a big thing for a country. In every way you have done it nicely for our country. Thanks to you HPM Sheikh Hasina!
Total Reply(0)
Zeenat Nesa ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৪২ এএম says : 1
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মেধা ও পরিশ্রম এ আল্লাহ্ বরকত দিন আমিন
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৩৯ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার উন্নয়ন অগ্রগতি আপনার দিনরাত পরিশ্রম আপনার ভীশনারি লিডারশিপ জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবে আপনার বিশালাকার নেতৃত্ব। মানবজাতির মানবতার প্রতি গভীর সহানুভূতি এবং শান্তির পক্ষে কাজের জন্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তিতে নোবেলজয়ী জন্যে এবং গভীর শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে শ্রদ্ধাভরে বিশ্ব মানবতার মা জননী সহ এবং গভীর শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে মা সম্বোধন করছি। দীর্ঘদিন যাবত হাজার হাজারো ক্ষুদ্র লিখনীর মধ্যে নিজকে সম্মানিত করতে চেষ্টা করেছি শতভাগ নিঃস্বার্থ ভাবে। আমেরিকা ইসরাইলের পক্ষে আন্তর্জাতিক সকল মানবধিকার গোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঅংগুলি প্রদর্শন করেছে এমনকি জাতীয় সংঘে ইসরাইল বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের পক্ষে একের পর এক ভেটো দিয়ে ইসরাইলকে আমেরিকার অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। ফিলিস্তিন কে কবরস্থানে পরিণত করেছে গোটামধ্য প্রার্চের মাঠি রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত করে চলছে। মুসলমানদের প্রথম কাবা বায়তুল মোকাদ্দেছ গাজা অবরোধ‍্য। নিরহ হাজারো মানুষের মৃত্যুর জন্যে দায়ী আমেরিকা। আফগানিস্তান ইরাকে মানবধিকারের কবরস্থান বানিয়েছেন আমেরিকা ইসরাইল। গোটা পৃথিবীতে অশান্তির পরাশক্তি আমেরিকা। চীন রাশিয়ার ইরানসহ পৃথিবীর অনেক দেশ আমেরিকার অবরোধ চলছে। বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অবরোধ নয়। এটি আপনার উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে আপনার ভীশনারি লিডারশিপের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ গুলোর প্রাথমিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা। এটি বাংলাদেশের কুটনৈতিক ব‍্যার্থতা পরারাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব‍্যার্থতা। আপনার সরকারের আন্তর্জাতিক বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্তদের চরম ব‍্যার্থতায় নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকা সাথে কথার যুদ্ধ কুটনৈতিক যুদ্ধ করে লাভ হবেনা। আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিবেন। এই মুহুর্তে জাতির পক্ষে আপনি অত্যন্ত দক্ষতা মেধা বুদ্ধিদীপ্ত বিচক্ষন কুটনৈতিক কৌশল নিদ্ধাধন করে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা হতে বাহিরে আসতে হবে। প্রযোজন আন্তর্জাতিক আমেরিকার মিত্রদের সহ কৌশল নিদ্ধারণ করা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই প্রথম নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকার আন্তর্জাতিক কোন স্বার্থের জন্যে নিষেধাজ্ঞা দিলেন?? চীন রাশিয়া ভারতের আন্তর্জাতিক রাজনীতি কোন কৌশল কিনা?? তান্ডা মাথায় বিচক্ষন কুটনৈতিক প্রজ্ঞাদিয়ে এগিয়ে যাওয়া একমাত্র পথ। আমেরিকার মিত্ররা জাতীয় সংঘ মার্কিন ডলার আমাদের অর্থনীতি ও বিশ্ববানিজ‍্য আমেরিকার আদিপত‍্যবাদী কৌশল সিষ্টেমের নিকট বন্দি বিশ্বের অনেক দেশ। এই মুহুর্তে করনীয় বর্জনীয় কি? আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কবল হতে বাহিরআসতে যত রকমের তেল """""'। প্রযোজনে দিতে লজ্জা কিসের এটি কুটনীতি। আমেরিকা গোটা মধ‍্য প্রার্চ‍্য ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ইসরাইল কে গনতন্ত্র মানবতার জন‍্য গনতন্ত্র সম্মেলনেআহবান করেন এটি আমেরিকার গনতন্ত্র। আমেরিকায় প্রতিদিন মানুষ হত‍্যা আমেরিকার গনতন্ত্র। একক পরাশক্তি আমেরিকার অন‍্যায় করার শক্তি আছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির শক্তি।আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নেই। আপনার উন্নয়ন অগ্রগতির লিডারশিপে ইর্ষান্বিত হয়েছে অনেকেই। বাংলাদেশের কিছু ইতর মানুষ আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগে দিনরাত কি পরিমাণ দেশের বিরুদ্ধে সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ ভয়ংকর প্রকাশ‍্যে কঠোরভাবে বাজে শব্দ দিয়ে সমালোচনা করছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার চায়তে বেশি মনে হচ্ছে। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে দেশের কিছু অবসর সেনা কিছু সাংবাদিক জঘন্যতম ভাষা ব‍্যবহার করে যাচ্ছেন এটি পৃথিবীর মাঝে বিরল ঘটনা। শেষান্তে বলবো আন্তর্জাতিক মানবধিকার সংস্থাগুলো রিপোর্টে নিয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা। রাষ্ট্রের আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এলিট ফৌজ র‍্যাব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে। ভেজাল বিরোধী অভিযান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার নানান অপকর্ম শক্তিশালী রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে দেশে শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্টিয় অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন অপারেশন করতে গিয়ে অনেকেই জীবন দিয়েছেন।দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের আস্তার জায়গা র‍্যাব। ভবিষ্যতে বাহিনীর মর্যাদা সুনাম নষ্ট না হয় এটির দায়িত্ব রাজনীতিবিদ নিতে হবে। রাষ্ট্রের বিশাল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ক্ষূদ্র মতামত ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন