নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীসহ ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁদের জামানত হারিয়েছেন। উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে লড়েছিলেন ২৯ জন প্রার্থী। চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচন রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়।
জামানত হারাচ্ছেন ১নং কামারপুকুর ইউনিয়নের ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিন জন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম ভরসা, স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের মোজাহারুল ইসলাম ও হাতপাখা প্রতীকের সাজেদুল ইসলাম।
২নং কাশিরাম ইউনিয়নের চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কারো জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি।
৩নং বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল চারজন। তাদের মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন একজন। তিনি হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত জামিনুল ইসলাম। তিনি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট।
৪নং বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি প্রার্থী। এখানে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ছয়জন প্রার্থীর। এ ছয় প্রার্থী হলেন আব্দুল হান্নান চৌধুরী আবু, জামায়াত নেতা খাদেমুল বসুনিয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে রেজা চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আলম বসুনিয়া ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম।
৫নং খাতামধুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাসিনা বেগম ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯৩টি। তিনিসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল কাশেম আলী, টেলিফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজ রেজার জামানত বাতিল হচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, মোট পোলিং ভোটের কমপক্ষে আট ভাগের এক ভাগ পেলে জামানতের টাকা ফেরত পান প্রার্থী। কিন্তু ২৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, তারা কেউ জামানত রক্ষা করার মতো ভোট পাননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন