লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন,উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি সহ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার নুরুল আমিন। গত অক্টোবর মাসের ১১ তারিখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার নুরুল আমিন এই অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগের কপিটি কয়েকদিন ধরে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা ও সমালোচনা করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদেরকে।
অভিযোগে উল্লেখ করেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ২৫ তারিখে তিনি (কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার নুরুল আমিন) চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হন। এতে তার বিপক্ষে উল্লেখিত নেতারা সরাসরি অবস্থান নিয়ে তাকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তখন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে পরাজিত করতে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন। এবং তার পক্ষে সরাসরি প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করে থানা পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাপ্পিকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানান সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ উল্লেখিত নেতারা। ঐ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর তাতে নৌকা পরাজিত হয় ।
মাস্টার নুরুল আমিনের স্বাক্ষরিত অভিযোগে অভিযুক্ত নেতারা হলেন, লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, কমলনগর উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চরলরেন্স ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক কামাল উদ্দীন বাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদুল্লাহ, ক্রীড়া সম্পাদক আহমদ উল্যাহ, চরমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউছুফ আলী মিয়া, তোরাবগন্জ ইউনিয়ন সভাপতি শাহে আলম, পাঠারিরহাট ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক কামাল তালুকদার, হাজিরহাট ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক যুগল চন্দ্র দাস, তোরাবগন্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতন ও কমলনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিশাদ।
বিষয়টি নিয়ে দলের এসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর অভিযোগ দায়ের করে এদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মাস্টার নুরুল আমিন বলেন,তারা সম্মিলিত ভাবে আমাকে ও নৌকা মার্কাকে পরাজিত করতে আরেকজনকে বিদ্রোহী প্রার্থী করান। এতে দলের ভাবমূর্তি জনসাধারণের মাঝে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বিদায় আমি দলীয় সভানেত্রীর কাছে বিচার চেয়েছি।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, বিষয়টি সেন্ট্রাল আওয়ামীলীগ আমাকে লিখিত ভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। নেত্রীর যেকোনো নির্দেশ আমি মাথা পেতে নিবো।
লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য জানতে একাধিক বার তার মুঠোফোন কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন