পরমাণু অস্ত্র নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও জীবনমান উন্নয়ন চান উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উন। ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছরে উপলক্ষে শনিবারের প্রদত্ত ভাষণে এই বিষয়গুলোকে ২০২২ সালের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার মানুষ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। চলমান সমস্যা কাটাতে নতুন বছরে মানুষের জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে মূল লক্ষ্য। শুক্রবার ৮ম সেন্ট্রালের চতুর্থ বৈঠক শেষে এক বক্তৃতা এমন কথা বলেন কিম। অন্যসময় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং শত্রুদের মোকাবিলা নিয়ে বক্তব্য শোনা যেতো তার কণ্ঠে। কিন্তু এদিন নিজ দেশের জনগণের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। করোনার মহামারির শুরু থেকেই অভ্যন্তরণীভাবে লকডাউন আরোপ করে কিম সরকার। পুরো বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দেশটিতে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে প্রায়ই খবর প্রকাশ হয় আন্তর্জাতিক সংবামাধ্যমগুলোতে। তবে দীর্ঘদিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন কিম। বলেন, সামনে জাতীয় উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রা উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা প্রথম টার্গেট। কিম তার বক্তৃতার সিংহভাগই ব্যয় করেছেন, গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা থেকে শুরু করে মানুষের খাদ্যাভ্যাস, স্কুল ইউনিফর্ম এবং অ-সমাজতান্ত্রিক চর্চা রোধ করার প্রয়োজনীয়তা। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার শাসক হিসেবে ক্ষমতা প্রহণ করেন কিম। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন