নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলছে। এ নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র (হাতি মার্কা) মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নির্বাচনী গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুজনই।
নির্বাচনে হলফনামায় নির্বাচনী খরচের বিবরণ তুলে ধরেছেন মেয়র প্রার্থীরা। সেখানে তারা কে কত টাকা নির্বাচনে খরচ করবেন, তা উল্লেখ করেছেন। জানা যায় আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থী কীভাবে, কোন খাতে অর্থ ব্যয় করবেন।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী
আ.লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী সম্ভাব্য নির্বাচনী খাতে ব্যয় ধরেছেন ২০ লাখ টাকা। এই অর্থের উৎস মেয়র হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানি ও বেতনভাতা। তার নির্বাচনী পোস্টারে ব্যয় হবে ৫ লাখ টাকা। তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্পে খরচ হবে ৬০ হাজার টাকা। ক্যাম্পে কর্মীদের জন্য খরচ করবেন ৯০ হাজার টাকা, মোট ব্যয় হবে দেড় লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় ক্যাম্প অফিসে কর্মীদের জন্য খরচ করবেন ১ লাখ টাকা। যাতায়াত খরচ ৫০ হাজার ও কর্মীদের জন্য খরচ করবেন ১ লাখ টাকা। আসবাবপত্র ভাড়ার জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া বিশ্বাস প্রিন্টার্সে দেড় লাখ লিফলেট ছাপাবেন। এতে খরচ হবে ১ লাখ টাকা। একই প্রেসে হ্যান্ডবিল তৈরি করবেন ১ লাখ, যার খরচ ধরেছেন ৭৫ হাজার টাকা। ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করবেন ২০০টি; যার মুদ্রণ খরচ ১ লাখ ২০ হাজার ও টানানো বাবদ খরচ ২০ হাজার টাকা। পথসভা করবেন ৫০টি, যার মাইক বাবদ খরচ ২০ হাজার টাকা। মাইকিংয়ের জন্য বাহনের খরচ ৫০ হাজার, কর্মীর খরচ ৫০ হাজার এবং মাইকিং ভাড়া ৩০ হাজার ধরা হয়েছে। পোর্ট্রেট তৈরি করা হবে ১০০টি, যার খরচ ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। প্রতীক তৈরি করবেন ১০০টি, যার খরচ ৫০ হাজার টাকা। ৫০টি অফিসে আপ্যায়ন খরচ ধরেছেন দেড় লাখ টাকা। কর্মীর সংখ্যা দেখিয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জন, তাদের পেছনে খরচ হবে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। জামানত, সিডি প্রিন্ট, সিডি ক্রয়, মনোহারি ও অন্যান্য খরচ রেখেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
তৈমূর আলম খন্দকার
স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হলফনামায় সম্ভাব্য নির্বাচনী খরচ ধরেছেন ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিজের অর্থ রয়েছে ৫ লাখ, যার উৎস আইন পেশা ও বাড়িভাড়া। অন্যান্য উৎসের মধ্যে মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকার থেকে ১ লাখ, নুসরাত খন্দকার থেকে ৫ লাখ এবং দুজন স্বজন থেকে ১০ লাখ নিচ্ছেন।
নির্বাচনী খরচে তৈমূর পোস্টার তৈরিতে ব্যয় করবেন ৩ লাখ টাকা। ২৭টি নির্বাচনী ক্যাম্পে ব্যয় হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ক্যাম্পের কর্মীদের জন্য খরচ ধরেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় ক্যাম্প স্থাপনে খরচ করবেন ৫ হাজার টাকা এবং অফিস কর্মীদের ব্যয় ৭৫ হাজার টাকা। নির্বাচনী এজেন্টের খরচ ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, কর্মীদের সম্ভাব্য খরচ ১ লাখ টাকা। সভা আয়োজনের জন্য শ্রমিক পারিশ্রমিক রেখেছেন ৯০ হাজার টাকা এবং আসবাবের ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা। মোল্লা প্রিন্টিং প্রেসে ২ লাখ লিফলেট তৈরিতে ব্যয় করবেন ৩৮ হাজার টাকা। একই প্রেসে ৫ লাখ হ্যান্ডবিল তৈরিতে ব্যয় করবেন দেড় লাখ টাকা। ডিজিটাল ১০০টি ব্যানার তৈরিতে খরচ করবেন ৪৫ হাজার টাকা ও টানানো বাবদ ১০ হাজার টাকা।
৩০টি পথসভায় মাইক বাবদ খরচ করবেন ৯০ হাজার টাকা। মাইকিংয়ের জন্য বাহন ভাড়া ২০ হাজার, ব্যক্তি পারিশ্রমিক দেড় লাখ এবং মাইকিং ভাড়া রেখেছেন ৭৫ হাজার টাকা। ২০০ প্রতীকের জন্য খরচ করবেন ৫০ হাজার টাকা। ১টি অফিসে আপ্যায়ন খরচ রেখেছেন ৩০ হাজার টাকা। ১০০ কর্মীর জন্য খরচ করবেন দেড় লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন