শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লক্ষাধিক ভোটে পাশ করবো - জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১:৪৪ পিএম | আপডেট : ৬:৫৭ পিএম, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টার সময় হঠাৎ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনে হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি প্রচার না, সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাই নি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে আমি কী বলবো না। আমার লোকজন গ্রেফতার হচ্ছে, আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দিবেন আমি কথা বলতে পারবো না, সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব। মানুষের ওপর যত অত্যাচার হয় ভোটাররা তত ঐক্যবদ্ধ হয়। লক্ষাধিক ভোটে পাশ করবো। মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না। প্রশাসনকে বলব- জনগনের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব। বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি, এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আগামীকালের ভোট যাই হোক, আমরা মাঠে থাকবো। গ্রেফতার হলে হবো, কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাবো।


তিনি বলেন, আজকে আপনাদের সামনে হাজেরা বেগম উপস্থিত আছে। তারা স্বামী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। সে আমার বাড়িতে রাত দুটো পর্যন্ত ছিল। তাকে ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও চারজনকে প্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা এবং নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে। পাঠানটুলি এলাকার একটা ছেলে আহসান, সেই এলাকায় আমার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এখনও তার খোঁজ পাইনি।


তৈমূর আরও বলেন, এখানে অনেক লোক আছেন- যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। এদের মধ্যে এমন কোন লোক নেই, যাদের বাড়িতে দুই থেকে তিনবার লোক যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, ‘আপনি আমাদের ওপর এত অত্যাচার করছেন কেন? প্রশাসনের এহেন কাজে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পাপনও কাল এখানে ছিল। তাকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এভাবে আমার লোকদের গ্রেফতার করা হলে নির্বাচন কমিশন যে বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটাই কী সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া?’


তিনি বলেন, এখানে যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করে দেখেন- পুলিশ কীভাবে অত্যাচার করছে। একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভোটারদের নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য প্রেশার দেয়া হচ্ছে। নয়ত তাদের ভোট দিয়ে দেয়া হবে।


এসপির বক্তব্যের প্রতিবাদে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে যে কথা বলি এটাকি তার কর্ণগোচর হয় না? এসব সাফাইয়ের কোন ভিত্তি নাই। রবি কী মাদক ব্যাবসায়ী, জামাল হোসেন কী হেফাজত। ১৯৫২ সালে যারা এদেশের আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল তারা বাঙালি পুলিশই ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন