ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর ফুটপাথ দখল ও অব্যবস্থাপনা দেখলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। শহরে নাগরিক সেবার কী অবস্থা তা নগর ভবনে বসে বোঝা যায় না। প্রায়ই বিভিন্ন এলাকা থেকে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আসে। সংশ্লিষ্টদের দিয়ে তা সমাধান করা হয়। কিন্তু তারপরও অভিযোগ কমছে না। তাই বাস্তব অবস্থা দেখতে কাউকে কিছু না জানিয়ে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়েছি। নগরীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হলে নগরবাসীকেও সহযোগিতা করতে হবে।
গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মিরপুর-১ নম্বর শাহআলীবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান তিনি। মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করছেন কি না তা দেখতে হঠাৎ সেখানে হাজির হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি নানা অব্যবস্থাপনা দেখতে পান। শাহআলীবাগ এলাকার বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি দেখছেন তিনি। এ সময় সড়ক-ফুটপাথে ইট, বালুসহ নির্মাণসামগ্রী, দোকান, বাসাবাড়ির সামনে ময়লা আবর্জনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। কাউকে অবহিত না করেই নিয়মিত এমন অভিযান করবেন ডিএনসিসি মেয়র। অভিযানে গিয়ে ডেকে আনা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শককে। পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকের কাছে সড়কে কেন বালু ফেলে রাখা হয়েছে, ফুটপাথে কেন ইট রেখে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে, দোকানের সামনে কেন ময়লা জমে আছে, এমন বিষয়ে জানতে চান মেয়র। পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মেয়রকে জানান, সড়কে যারা নির্মাণসামগ্রী রাখছেন তাদের একাধিকবার নোটিশ করা হয়েছে কিন্তু তারা এগুলো সরাচ্ছেন না। দোকানিরা দোকান খোলার পর নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা না রেখে, তা রাস্তায় ফেলছেন। এ ময়লা নর্দমায় যাওয়ার পর সেখানে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এসব না করার অনুরোধ জানান তিনি। ডিএনসিসির দায়িত্ব পালনে অবহেলা দেখলে দায়িত্বরত ব্যক্তিকে যেমন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে, তেমনি নাগরিকদের অব্যবস্থাপনা দেখলেও নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনের ফুটপাথে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মেরিনা নাজনীন। গতকাল বুধবার বিকেলে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, এখানে নিয়মিত অভিযান করছি। অভিযান পরিচালনা করার আগে তারা আমাদের আসার খবর পেয়ে যায়। তাই দোকানের মালামাল সরিয়ে ফেলে। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। একটি চক্র টাকা নিয়ে ওইসব দোকানিদের এখানে বসার সুযোগ করে দেয়। এর আগেও অনেক অভিযান, জেল জরিমানা করেছি। ঢামেকে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন