খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের আরো একটি দাবি পূরণ হল। বিভাগীয় শহর খুলনায় স্থাপিত হতে যাচ্ছে সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগ ইউনিট। আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিয়ের মাধ্যমে খুলনাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সমন্বিত ইউনিটের মধ্যে ক্যান্সারের জন্য ১১৫টি কিডনীর জন্য ১৬৫টি এবং হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য ১৮০টি শয্যা থাকবে।
সূত্র জানায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত শহীদ আবু নাসের হাসপাতালে হৃদরোগ, কিডনীর চিকিৎসায় পৃথক ইউনিট থাকলেও চাহিদার তুলনায় শয্যা ও চিকিৎসক সংকট ছিল প্রবল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামেরও ঘাটতি ছিল। খুলনা সদর হাসপাতালে নামেমাত্র হৃদরোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। কার্যত এই দুরারোগ্য ব্যধিগুলোর যথাযথ চিকিৎসা খুলনায় না থাকায় অনেক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে যান। কলকাতা খুলনার নিকটবর্তী হওয়ায় রোগীদের বড় একটি অংশ ভারতে বিভিন্ন চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য যান। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, খুলনার কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক এ সুযোগে রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে ইচ্ছেমত টাকা আদায় করছিল। সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে তৃণমূল পর্যায়ে অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সহজ লভ্য হবে, বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের প্রবণতা কমবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। খুলনায় ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতান্তই অপ্রতুল। এক্ষেত্রেই খুলনার রোগীরা ভারতে যান চিকিৎসা নিতে।
আজ রোববার সকালে খুলনা প্রান্তে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফলক উন্মোচন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এসময় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন, পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিএমএ ও স্বাচিপ’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন