২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ঘটনা। গরুর দুধে সোনার ‘খোঁজ’ দিয়েছিলেন বিজেপির তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তাকে খোঁচা দিয়ে কথা বললেন দিলীপের ফেলে আসা বিধানসভা খড়্গপুর সদরের অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চ্যাটার্জি। স্থানীয় সময় শনিবার হিরণ বলেছেন, গরুর দুধে সোনা আছে কি না, তা নিয়ে গবেষণার আগে যুব সমাজের কী করে উন্নয়ন হবে, তারা কী করে কাজ পাবেন সেটা নিয়ে গবেষণা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দিলীপ ও হিরণের সম্পর্ক যে ভালো নয়, সেটা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সীমা ছাড়িয়ে অন্যদেরও জানা। অনেক দিন আগেই দিলীপের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করা হিরণের সংঘাত কয়েকদিন আগেই সামনে এসেছে। হিরণের বিধানসভা এলাকা দিলীপের লোকসভা মেদিনীপুরেরই অংশ। সেই সূত্রে সম্প্রতি খড়্গপুরে পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক করেন দিলীপ। তাতে যোগ দেননি হিরণ। পরে কয়েকটি দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। সম্প্রতি বিজেপির মতুয়া বিধায়ক, বাঁকুড়ার বিধায়ক এবং পরে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে যখন বিজেপি শিবির অস্বস্তিতে, তখনই হিরণ একাধিক গ্রুপ ছাড়েন। সেই প্রসঙ্গে শনিবার হিরণ বলেন, আমি অনেক গ্রুপে রয়েছি। ওই গ্রুপগুলোতে আমার থাকার দরকার নেই মনে করেই ছেড়েছি। দল বললে আবার ঢুকে যাব। হিরণ বলেন, দিলীপবাবু তো আমাদের সাংসদ। দল বললে উনি কর্মসূচি করবেনই। কিন্তু রাজ্য সভাপতি থেকে নেতৃত্বের সকলকে বলেছিলাম, আমার এলাকায় কোনো কর্মসূচি থাকলে আমায় যেন আগে জানানো হয়। হিরণ আরো বলেন, ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। আলোচনা করে ঠিক হোক। আমি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে জেতা বিজেপির একমাত্র বিধায়ক। আমি বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় অথচ আমার অজ্ঞাতেই খড়্গপুর পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গেলে সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না। হিরণ জানান, অমিত শাহ তথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমায় যা যা কথা দিয়েছিলেন সবই রেখেছেন। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি খড়্গপুরে এসে জনসভা করেছেন। তাদের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বর্ধমান শহরের টাউনহলে ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’র সভায় দিলীপ বলেছিলেন, গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন