ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আবারো পুড়ে ছাই হয়েছে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সহস্রাধিক বসতি। এখন সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটছে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের।
এখন একে তো প্রচণ্ড শীত, তার ওপর বসতি হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েছে এসব পরিবারের রোহিঙ্গা। তবে দ্রুত রোহিঙ্গাদের শেল্টার নির্মাণ করে দেওয়াসহ সমস্যা লাঘবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজোয়ান হায়াত।
সকালে সরেজমিনে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন এর শফিউল্লাহ কাটা -১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়- আগুনে বসতি পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের নেই কোন কাপড় চোপড়, আসবাবপত্র কিংবা খাদ্যসামগ্রী। শুধু কোনো রকম পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় গিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন রোহিঙ্গারা। সকাল হতে না হতেই রোহিঙ্গারা ফিরছেন সেই পুড়ে যাওয়া বসতিতে। পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতিতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিছু পাওয়া যায় কিনা। কিন্তু আগুনে কেড়ে নিয়েছে তাদের সব সম্বল। শুধু দাঁড়িয়ে আছে বসতির পিলারগুলো।
একে তো প্রচণ্ড শীত পড়ছে। তার ওপর বসতি হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর। শীতের কাপড়, খাদ্য ও পানি সংকটে চরম কষ্টে রয়েছেন বলে জানালেন রোহিঙ্গারা।
কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং সমন্বয় করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানালেন আইওএম এর ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামছু দ্দৌজা জানান, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প ১৬ তে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় রোহিঙ্গাদের সহস্রাধিক বসতি।
এদিকে বারবার এভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল। গত এক বছরে এভাবে কয়েকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তাদের মতে এটি রহস্যজনক। সচেতন মহলের মতে এর পেছনে কোন মহলের ষড়যন্ত্র বা নাশকতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন