ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। টিগ্রেতে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তার কাছে আবেদন জানালো নোবেল কমিটি।
গত প্রায় এক বছর ধরে টিগ্রেকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে ইথিওপিয়ায়। লড়াই হচ্ছে ইথিওপিয়ার সেনার সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ)। মাসখানেক আগে ইথিওপিয়ার সাধারণ মানুষকেও অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি। তারপরেই সমালোচনার ঢেউ ওঠে। সে সময় নোবেল কমিটি একবার তাকে সতর্ক করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের টিগ্রে আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহযুদ্ধ চলছে। প্রচণ্ড ক্ষুধা এবং যুদ্ধাপরাধের হুমকিতে দিন কাটাচ্ছেন সে এলাকার মানুষ।স্বঘোষিত টিগ্রে ডিফেন্স ফোর্সেস- টিডিএফ টিগ্রের আঞ্চলিক রাজধানী মেকেলে পুনরায় দখল করার পর লাখ লাখ মানুষ এখন পলাতক৷
বৃহস্পতিবার নোবেল কমিটি জানিয়েছে, অ্যাবির পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু ইথিওপিয়ায় দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত। কারণ, এতে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। একজন শান্তির দূত হিসেবে এই পরিস্থিতি বন্ধ করা উচিত অ্যাবির।
ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক সংস্কার এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র এরিট্রিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির জন্য ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার যেতেন অ্যাবি। সেই অ্যাবি কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
বৃহস্পতিবারও টিগ্রেতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইথিওপিয়ার সেনা। তাতে ৭০ এর বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান গেছে। দিনের পর দিন টিগ্রেতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্লকেড তৈরি করে সেখানে খাবার পর্যন্ত পৌঁছাতে দিচ্ছে না ইথিওপিয়ার সেনা। ফলে শুরু হয়েছে অনাহার। বহু মানুষ পালানোর চেষ্টা করেছেন পার্শ্ববর্তী দেশে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন।
কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনার টেবিলেও বসতে চাইছেন না তিনি। পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে টিপিএলএফ। ইথিওয়পিয়ার একাধিক শহর তারা দখল করে নিয়েছিল। পরে অবশ্য আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যস্থতায় তারা সেখান থেকে ফিরে আসে। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন