মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে। এ সময় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করছিল। করোনার কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা স্থগিত করায় কলেজটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা ওই স্থগিতাদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের সরিয়ে দেন। এ সময় সাইফ নামের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে কলেজ প্রাঙ্গণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল সাইফ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পরীক্ষা দিতে পারতাম। সেটি না করে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এ স্থগিতাদেশ বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মীরা অন্যায়ভাবে মারধর করেছে।
একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত আরা শশী বলেন, সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া সচল রয়েছে। আর আমরা তিন বছর ধরে একই ক্লাসে আটকে আছি। বিষয়টি বিবেচনার জন্য মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের মাধ্যমে আমাদের ডেকে নিষেধ করায় মানববন্ধন করতে পারিনি।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান রুবেল বলেন, করোনা পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় সরকার পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে; কিন্তু কলেজ ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে মানববন্ধনের উদ্যোগ নেওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, কলেজের একটি পক্ষ মানববন্ধনের উদ্যোগ নিলে আরেকটি পক্ষ বাধা দেওয়ায় সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় কিন্তু কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন