দীর্ঘদিনের বন্ধাত্ব ঘুচে প্রায় পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের ১৮ টি হলের সমন্বিত বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস। এ সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে বলে প্রত্যাশা ঢাবি ছাত্রলীগের। সম্মেলন প্রস্তুতি বিষয়ক নানাবিধ কর্মপ্রয়াস তুলে ধরে কেমন নেতৃত্ব আসবেন এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়ে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাবি ছাত্রলীগ।
এসময় সম্মেলনের মাধ্যমে হল কমিটিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে, ক্যান্টিনে খাবারের মান উন্নয়ন ও গণরুম ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে জাদুঘরে পাঠাবে এমন কর্মীবান্ধব ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রূপকল্প ‹৪১ বাস্তবায়নের উপযোগী মানবসম্পদ গড়ার সক্ষমতা সম্পন্ন নেতৃত্ব আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। সঞ্চালনা করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখার সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাইন। অন্যান্যের মাঝে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, হল সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধন, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। বিশেষ করে একুশ শতকের এই পর্যায়ে ‘নিউ নরমাল রিয়েলিটি’ -কে বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের উপযোগী মানবসম্পদ গড়তে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন কর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হবে।
এসময় যাদের নামে কোনো অভিযোগ রয়েছে, কোনো ধরনের মামলা রয়েছে, অনৈতিক ও সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রমের সাথে জড়িত তাদেরকে নেতৃত্বে দেখতে চান না বলে জানান সনজিত। তিনি বলেন, নেতিবাচক ভূমিকায় থাকা কেউ ছাত্রদের নেতৃত্বে আসবে না। মেধাবী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের প্রশ্নে আপোষহীন, রাজপথে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে যারা কাজ করবে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর নেতৃত্বে আসবে।
নেতা নির্বাচনে কি নীতি মানা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ১৮টি হলে কর্মীসভা করেছি, সেখানে কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতাদের অবস্থান রয়েছে তাদের বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক কোরামে আলোচনা করেই চূড়ান্ত নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আমরা সকলকে আহ্বান করেছিলাম যে পদপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা অসঙ্গতি থাকে তাহলে আমাদের কাছে যেন সরবরাহ করে সে অনুযায়ী আমরা তদন্ত করে নেতা নির্বাচন করবো। আমরা চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নেতৃত্ব নিয়ে আসার, এক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
হল সম্মেলনের কতদিন পর কমিটি ঘোষণা করা হবে এমন প্রশ্নে সনজিত বলেন, আমরা ৩০ জানুয়ারি সম্মেলন করার পরে যতদ্রুত সম্ভব কমিটি ঘোষণা করে দিবো। হয়তো দুই-তিনদিন বা এক সপ্তাহ লাগতে পারে। আমাদের ছোট ভাই-বোনরা প্রায় ৫ বছর ধরে অনেক কষ্ট করেছে আমরা তাদের কষ্ট বুঝি তাই দ্রুতই হল কমিটি দিয়ে দিবো। এর মাধ্যমে আমাদের ছাত্রলীগ দ্রুত সাংগঠনিকভাবে সংঘটিত হবে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন