সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির একটি হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
বস্তুনিষ্ঠভাবে এই হিসাব করা হয়েছে : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না : ড. মোস্তাফিজুর রহমান
উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে বাধা : ড. সেলিম রায়হান
৩, ৪ বা ৫ শতাংশ হতে পারে : ড. আহসান এইচ মনসুর
গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না : ড. জাহিদ হোসেন
বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন হিসেব দেয়ায় এ গরমিল। আসলে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কত? বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে আইএমএফ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে ধারণা দিয়েছিল। এডিবি’র বিশ্লেষণে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাংক তাদের জরিপে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে যেকোনো সংস্থার অনুমানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সরকারি এ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা বাজেটে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা ও আগের অর্থবছরের চেয়েও অনেক বেশি। এর আগে গত নভেম্বরে প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সাধারণত কোনো অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের তথ্য এবং পরবর্তী ৩ মাসের অনুমানের ভিত্তিতে সাময়িক হিসাব করা হয়। চ‚ড়ান্ত হিসাবে সাময়িক হিসাবের সঙ্গে কিছুটা ব্যবধান থাকে। কিন্তু এত ব্যবধান সাধারণত থাকে না। অন্যদিকে অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে করোনা সংক্রমণ বেড়েছিল। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছিল। সাধারণত বিবিএসের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু দেখা গেছে, প্রায়ই তাদের তথ্য অচল কিংবা অসম্পূর্ণ থাকে। এর থেকেও মারাত্মক অভিযোগ হলো তাদের তথ্য প্রায়ই বানোয়াট থাকে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আমার কাছে অস্বাভাবিক-বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। কীভাবে সম্ভব এতো প্রবৃদ্ধি। এ প্রবৃদ্ধি মানুষের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। ভারতে গত অর্থবছরে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঠিক; সেটা ৩, ৪ বা ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু প্রায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমার কাছে সত্যিই অস্বাভাবিক লাগছে। তবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এখানে মিরাকলের ব্যাপার নেই। সংখ্যাটা বেড়েছে এই কারণে যে, আমাদের এক্সপোর্ট কিন্তু অনেক বেড়েছে আগের বছরের তুলনায়। এটার প্রভাব পড়েছে। আমাদের রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে, প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ দুইটা কন্ট্রিবিউটিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে সরকারের ‘সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা’ এবং প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন হওয়ায় ‘সুফল’ পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের মেথড অনুযায়ী আমরা জিডিপির হিসাব করি। বস্তুনিষ্ঠভাবে এই হিসাব করা হয়েছে।
গত অর্থবছরের শেষ ৩ মাসের মধ্যে বাংলা নববর্ষ এবং ঈদুল ফিতর ছিল। করোনার কারণে এই দুই বড় উৎসবে কেনাকাটা জমেনি। ফলে এ সময়ে ভোগের এত বড় বৃদ্ধি হওয়ার কথা নয়। বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন স¤প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত দুই ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের কারণে অভ্যন্তরীণ বস্ত্র ও পোশাকের বাজার ধরতে পারেননি তারা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, ভোগ, বিনিয়োগ, প্রবাসী আয়, কৃষিসেবা কোনো খাতের হিসাবেই জিডিপির চ‚ড়ান্ত এবং সাময়িক হিসাবের ব্যবধান মেলানো যাচ্ছে না। বিবিএসের পরিসংখ্যানের মধ্যে ধারাবাহিকতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিপিডির পক্ষ থেকে সব সময়ই তারা মানসম্পন্ন ডাটা বিশ্নেষণ এবং গ্রহণযোগ্য ডাটার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিবিএসের এই ডাটার ওপরই নির্ভর করতে হয়। মাথাপিছু আয়ের যে হিসাব দেখানো হয়েছে, সেখানেও প্রশ্ন রয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেছেন, এই প্রবৃদ্ধি অস্বাভাবিক, বিস্ময়কর। বিশ্ব এবং পারিপার্শ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
করোনার অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ঘোষণা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কোনো সূচকের বিশ্লেষণেই এত বেশি হারে জিডিপি অর্জনের হিসাব মেলানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, গত নভেম্বরে সরকার যখন সাময়িক হিসেবে জিডিপিতে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ঘোষণা দিল, সেটা ছিল বিশ্বাসযোগ্য। গত অর্থবছরের প্রথম ছয়-সাত মাসের পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই হিসাব ছিল বাস্তবসম্মত। এখন ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ঘোষণা মানে পরের মাসগুলোতে আরও ব্যাপক হারে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। গত বছরের শেষ দিকে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে সেবা ও শিল্প প্রায় বন্ধ ছিল। এক রফতানি খাত ছাড়া কোনো কার্যক্রমই স্বাভাবিক ছিল না। শুধু রফতানি আয়ের সূচক ধরে তো আর এত বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হতে পারে না। আবার রফতানির তুলনায় আমদানি বেশি ছিল দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রফতানি আয় থেকে আমদানি ব্যয় বাদ দিলে এত বেশি অবদান থাকে না। কাজেই রফতানির ওপর ভর করে জিডিপি এত বেশি বেড়েছে- এটা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নয়।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় শেষার্ধে কমেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার ক্ষেত্রেও করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে দেখা গেছে স্থবিরতা। হোটেল-রেস্তোরাঁ সেভাবে খোলা সম্ভব হয়নি। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং জোগানের মতো কর্মকাÐে জিডিপি এত বেড়েছে, সে কথাও বলা যাচ্ছে না। বাকি থাকল সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, টাকায় এডিপির ব্যয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের তুলনায় মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার প্রকৃত অর্থে ব্যক্তি খাতের ঋণ বেড়েছে আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এর থেকে প্রায় ৬ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি বাদ দিতে হবে। সুতরাং কোনো ব্যাখ্যায় প্রায় ৭ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সরকারি ঘোষণার হিসাব মেলানো যাচ্ছে না।
এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বিবিএসের এই তথ্য কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে না। কোনো হিসাবেই মিলছে না। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি অবাক লাগছে, যে তিন মাস করোনার ছোবল সবচেয়ে বেশি ছিল, সেই তিন মাসের তথ্য যোগ করে বিবিএস বলছে আগের হিসাবের চেয়ে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ পয়েন্ট বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশে। কীভাবে এটা সম্ভব? প্রাসঙ্গিকভাবেই এই তথ্য নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলছি। আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না।
তবে বিশ্লেষকদের বক্তব্যের ঠিক উল্টোদিকে অবস্থান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের। তিনি এই প্রবৃদ্ধিকে ‘মিরাকল ও সুন্দর’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বে টপমোস্ট না হলেও সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির একটি হবে। চ‚ড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাথমিক হিসাব থেকে এতটা বাড়ল কীভাবে সেই ব্যাখ্যায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির প্রধান তিন সূচক কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি প্রাথমিক হিসাবের তুলনায় চ‚ড়ান্ত হিসাবে বেশি হয়েছে। সে কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের চ‚ড়ান্ত হিসাবে অর্থনীতির প্রধান তিন খাতের মধ্যে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা সাময়িক হিসাবে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ ধরা হয়েছিল। চ‚ড়ান্ত হিসাবে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। তবে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি সাময়িক প্রাক্কলনের ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, চ‚ড়ান্ত হিসাবে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, সেই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার। এর আগে গত বছর আগস্ট মাসে প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছিল, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৪৪ ডলার হবে। চ‚ড়ান্ত হিসেবে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সূচকই আরও বেড়েছে।
গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট জিডিপি বেড়ে ৪১৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা প্রাথমিক হিসাবে ছিল ৪১১ বিলিয়ন ডলার। মহামারির শুরুর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে, যা তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এরপর ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরলেও মহামারি পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্বলন করা হয়। এখন চ‚ড়ান্ত হিসাবে তার থেকে দশমিক ৮৪ শতাংশ পয়েন্ট বেশি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় যেখানে ২ হাজার ২২৭ ডলার ছিল, নতুন ভিত্তি বছর (২০১৫-১৬) ধরে হিসাব করায় ২০২০-২১ অর্থবছরে তা এক লাফে ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হবে বলে গত নভেম্বরে ধারণা দিয়েছিল পরিসংখ্যান ব্যুরো। চ‚ড়ান্ত হিসাবে তা আরও বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে। তবে বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এবার বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ বলেছে, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিবিএসের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির সঠিক চিত্র ফুটে উঠেনি এবং এর ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করলে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, আমার কাছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না। অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির সঠিক চিত্র ফুটে উঠেনি। সে কারণেই আমার মতো অনেকের কাছেই এই প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে; আর উঠাটাই স্বাভাবিক।
তিনি আরো বলেন, এখানে একটা বিষয় আমাদের সরকারের নীতি-নির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, আমরা যদি অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র না পাই, তথ্য না পাই, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সঠিকভাবে নিতে পারব না। উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন