খুলনায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব খুবই বেড়ে গেছে। দলবদ্ধ বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে। মহাসড়কে মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন আচমকা কুকুরের দলের সামনে পড়ে ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। কখনো কখনো রিকশা গাড়ি দেখলে কুকুরগুলো একসাথে পিছু ধাওয়া করছে। রাতের অন্ধকারে নগরীতে পথ চলতে সাধারণ মানুষ আতংকে থাকছেন। রাত হলেই রাস্তাগুলো চলে যাচ্ছে কুকুরের দখলে।
জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে কুকুরসহ কিছু প্রাণী নিধন বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত খুলনা সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প পাঠানোর পর মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় টিকাদানের মাধ্যমে কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে কাজ করতে পারছে না।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের সিনিয়র ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, উচ্চ আদালতের এক আদেশে ২০১৪ সালের পর থেকে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। এরপর একটি প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল পর্যন্ত খুলনা নগরীতে কুকুরদের টিকা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে করোনার কারণে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। জন্ম নিয়ন্ত্রনের একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। তিনি স্বীকার করেন, খুলনা মহানগরীতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব খুবই বেড়ে গেছে। খুলনায় মাত্র ৫০ থেকে ৬০ জন ব্যক্তি সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্স নিয়ে কুকুর পালন করছেন বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন