গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়ার লক্ষ্যে ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা শেয়ারের ৫০ শতাংশ তাদের স্বজনদের হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ৯ ফেব্রæয়ারি ইভ্যালির এমডি মো: রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কিছু সংখ্যক শেয়ার তার আত্মীয়-স্বজনের নামে হস্তান্তরের সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন একই আদালত। ইভ্যালির অন্তর্বর্তীকালিন পরিচালনা বোর্ডকে এ সহযোগিতা করতে বলা হয়। রাসেল ও শামীমার আত্মীয়-স্বজনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত এ আদেশ দেন। গতকাল ইভ্যালি পরিচালনা বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
মাহসিব হোসাইন বলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাই-বোন বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে হাজির হন। তারা জানান, ইভ্যালি পুনর্গঠনের জন্য কাজ করছেন। যারা ইভ্যালির কাছে টাকা-পয়সা ও পণ্য পাবেন সেগুলো ফেরত দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান। এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এমন একটি ডিরেকশন প্রয়োজন, যাতে ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যানের যে শেয়ারগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে কিছু শেয়ার যাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান এখন কারাগারে। এ অবস্থায় পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া তাদের জেলখানায় থাকা অবস্থাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত¡াবধানে হবে। ওনাদের শেয়ারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন তারা ইভ্যালি পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা বোর্ডকেও সহযোগিতা করবেন। তিন মাস ধরে ইভ্যালির কেনা-বেচা এবং পণ্য সরবরাহের বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের কোনো সংস্থান নেই। কিন্তু ব্যয় যথারীতি রয়েছে। ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপস বন্ধ রয়েছে। ফেসবুক পাতাতেও গত বছরের ১৮ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আপডেট আসেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন