চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় খুলেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। এতে ইউরোপে তৈরি পোশাক রফতানির বাজার ধরা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এই রুটের স্থায়িত্ব নিয়েও রয়েছে সংশয়। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্বিমুখী পণ্য পরিবহনের উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রফতানি পণ্য নিয়ে ইতালির রাভেনা বন্দরের পথে রয়েছে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘সোঙ্গাচিতা’। সব ঠিক থাকলে মেইড ইন বাংলাদেশ স্টিকারযুক্ত তৈরি পোশাক কয়েকদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে ইউরোপের ক্রেতাদের কাছে।
এতোদিন বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে বাংলাদেশি পণ্য ইউরোপে পৌঁছাতে সময় লাগতো দেড় থেকে দুই মাস। সেখানে মাত্র ১৬ দিনে রফতানি পণ্য পৌঁছানোর কারণে ইউরোপ রুট ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর-ইতালি রুটে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চালু দেশের রফতানিকারকদের জন্য বড় একটি সুযোগ। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ইউরোপীয় দেশগুলোতে লিড টাইমের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো সহজ হবে। একই সঙ্গে রফতানি ব্যয়ও অনেকটা সাশ্রয় হবে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কতোদিন টিকবে এই সার্ভিস? কারণ ট্রানজিট বন্দরে জট কমে গেলে এ রুটে পণ্য নেয়ায় ক্রেতারা আগ্রহ দেখাবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। ইতালির বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পথে জাহাজটিতে এসেছিল মাত্র ১০ টিইউস কনটেইনার পণ্য। ফলে একমুখী পণ্য পরিবহনে আগ্রহ হারাতে পারে শিপিং লাইনটি। ফিরতি পথে ইউরোপ থেকে চীন, মিশর, ওমান, করাচী কিংবা কলম্বো বন্দর ঘুরে আসলে খরচ সমন্বয় হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিপিং এজেন্ট, রফতানিকারক, জাহাজ মালিকসহ সব পক্ষের সমন্বয় চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন