শেরপুরের শ্রীবরদীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবদুস সামাদ (৫0) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগ সামাদকে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে রাতে তাঁকে শ্রীবরদী থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার সামাদের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে। পেশায় একজন দর্জি। তাঁর দোনাকটি শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের গ্রামে। সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তার সামাদ তাঁদের পরিচিত। সামাদ পোশাক তৈরির কাজ শেখানোর কথা বলে শনিবার দুপুরে ছাত্রীকে দোকানে নিয়ে যান। এরপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে ধর্ষণের কথা জানায়। এরপর স্বজনেরা সামাদের দর্জির দোকানে গিয়ে তাঁকে আটক করেন। পরে তাঁকে শ্রীবরদী থানা–পুলিশে সোপর্দ করেন। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওসি বলেন, গ্রেপ্তার আবদুস সামাদকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। রোববার জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সে আদালতে জবানবন্দি দেবেন। তবে থানা হেফাজতে আটক থাকায় গ্রেপ্তার আবদুস সামাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন