শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাস জীবন

পোল্যান্ড সীমান্তে বাংলাদেশিদের দীর্ঘ অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:৩২ এএম

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে চাওয়া বাংলাদেশিদের সীমান্ত এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কারণ সীমানা পাড়ি দিতে গিয়ে ইউক্রেনিয়ানরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন।
তিনি বলেন, “অনেকে সীমান্ত এলাকায় আসছেন। রাতে আবার ফেরত যাচ্ছেন। আবার সকালে আসছেন।” তিনি বলেন, “ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। জানান, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইউক্রেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে একটি ফোনকলের অপেক্ষায় আছি এখন।”
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা) ডয়চে ভেলেকে এ তথ্য জানান তিনি।
ডয়চে ভেলেকে পাঠানো এক ভিডিওতে ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র সুসময় সরকার জানান, তিনি সীমান্ত এলাকায় যাবার জন্য ট্রেনে উঠেছেন। সেখানে তিনি শুনতে পেয়েছেন সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে বাংলাদেশিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পোলিশ প্রান্তে অবশ্য কোন সমস্যা নেই বলে জানান রাষ্ট্রদূত সুলতানা। তিনি বলেন, পোলিশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক বাংলাদেশিকে ইউক্রেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ডে আনা গেছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। ‘‘মোট সাতটি সীমানা পয়েন্ট দিয়ে ইউক্রেন থেকে মানুষ পোল্যান্ডে আসছেন,'' বলেন সুলতানা লায়লা হোসেন।
তবে ইউক্রেন প্রবাসী অনেক বাংলাদেশি পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, অনেকে করেননি বলে জানান তিনি। দূতাবাসের আনুমানিক হিসেবে, ইউক্রেনে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
‘আমাদের একটি দল এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অপেক্ষা করছে। আমরা তাদের থাকা, পরিবহণসহ সব ব্যবস্থাই করছি। তবে অনেকে আত্মীয় বা পরিচিতদের সঙ্গে থাকার জন্য চলে যাচ্ছেন,'' ডয়চে ভেলেকে জানান রাষ্ট্রদূত। এদিকে, কিয়েভে এখনো আটকে আছেন অনেক বাংলাদেশি। কিয়েভ ছেড়ে যাওয়ার জন্য কোন পরিবহণ পাচ্ছেন না তারা। তারা জানান, রাত বাড়লেই হামলার শঙ্কা বাড়ে। একটু পর পর রকেট হামলার শব্দ পাচ্ছেন বলেও ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন তারা। সূত্র : ডয়েচে ভেলে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন