নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২১টি চোরাই গরুসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার তেঁতুলিয়া মৃত-দুদু মিয়ার ছেলে জাকির ও তার পুত্র সবুর এবং তার বিয়াই উপজেলার ঝাপড়িতলা গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিনসহ (৪৩) ও পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার বিহারপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে তাঞ্জিল (২২)। রবিবার দুপুরে বদলগাছী থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান বলেন, শনিবার (৫মার্চ) সকালে উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত-দুদু মিয়ার ছেলে জাকির চোর (৫৫) ও তার ছেলে সবুর ওরফে সবুজ (২৫) ভটভটি যোগে গরু নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে বের হয়। এ সময় কোলা ঝাপড়িতলা মোড়ে ভটভটি থামালে হলুদ বিহার গ্রামের এক গৃহবধূ ভটভটিতে দেখতে পায় ২০/২৫ দিন পূর্বে তাদের চুরি যাওয়া গরু। তাদের গরু দাবী করে গরু চোর জাকিরের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হলে আসে পাশের লোকজন গরুটি সনাক্তের জন্য আটকে দেয়। গরুর মালিক হলুদ বিহার গ্রামের গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে চিনতে পারে তার গরু। এ সময় চোর জাকির বিপদে পড়ার আশঙ্কায় তার বাড়ীতে ফোন দিয়ে অন্যান্য গরুগুলি লুকিয়ে ফেলতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে জাকিরের বাড়ী ঘর ঘিরে ফেলে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে থানা পুলিশ জাকিরের বাড়ীঘরসহ আশেপাশে আরো কয়েকটি বাড়ী তলাশি করে মোট ২১টি গরুসহ একটি ছাগল (খাসি) উদ্ধার করে। তাদের বাড়ী থেকে কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরোও বলেন, উদ্ধারকৃত গরুর মধ্যে ১১টি গরুর প্রকৃত মালিককে চিহিৃত করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট গরুর মালিককে চিহিৃত করে সবগুলো গরু আদালতের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। আর আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে আসামীদের সাতদিনের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। যদি আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন তাহলে আমরা আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই চক্রের সকল সদস্যদের আটক করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম, বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) রায়হান হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন