পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, লাদেনের মতো বিএনপি নেতারা মাঝে মধ্যে বোরা পাহাড় থেকে সরকার পতনের হুমকি দিচ্ছে। সরকারকে এসব হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। সরকারের পায়ের নীচে মাটি অনেক শক্ত। আপনাদের মাটি সরে গেছে, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি নেতারা মাঝে মধ্যেই সরকার পতনের হুমকি দিয়ে বলছেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। আমি বলি, সরকারের নয়, বিএনপির পায়ের নীচে মাটি নেই। কারণ তাদের জনভিত্তি নেই। দুর্নীতির দায়ের তাদের দলের নেত্রী জেলে, একটা দিন আন্দোলন করতে পারেনি, একটা মিছিল করতে পারেনি, হঠাৎ হঠাৎ লাদেনের মতো তোরা বোরা পাহাড় থেকে মাথা বের করে সরকার পতনের হুমকি দেয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। তবে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে করতে আমরা বড় হয়েছি। আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে, আর বাংলাদেশের মানুষ পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে।
উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখনি কোনো উন্নয়ন প্রকল্প চালু হয়, তখন বিরোধীদলীয় নেতারা নানা অপপ্রচার করেন। বিএনপির নেতাদের বলব, গ্রামেগঞ্জে যান, মানুষ কী বলে শোনেন। মানুষ উন্নয়ন চায়, অগ্রগতি চায়, মানুষ সুশাসন চায়, মানুষ জ্বালাও পোড়াও চায় না।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকার পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এতে আরো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম রনি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মানিক লাল ঘোষ, রোকনউদ্দিন পাঠান, সাংবাদিক আনিসুর রহমান, শেখ শাহ আলম, মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
জিল্লুর রহমানের উপর আলোচনা করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীম বলেন, প্রয়াত জিল্লুর রহমান ছিলেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। সর্ব মহলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। জনগণের নেতা ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার একজন অভিভাবক ছিলেন। যে কোন দুঃসময়ে পরামার্শের জন্য তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। জিল্লুর রহমানও একটি নির্মোহ, ভাল ও সৎ পরামার্শ দিতেন। তার মৃত্যু দেশের রাজনীতির জন্য অপুরণীয় ক্ষতি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন