স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে পদকজয়ী আরচ্যারদের অর্থপুরস্কার দেবে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। এজন্য তারা একটি নীতিমালা তৈরী করেছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে জাতীয় আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘দেশি এবং বিদেশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে পদকজয়ীদের জন্য আমরা আর্থিক পুরস্কারের নীতিমালা তৈরী করেছি। আগামীতে এই পুরস্কারগুলো দেওয়া হবে পদকজয়ী আরচ্যারদের।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, জাতীয় আরচ্যারির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ফুকেটে এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে তিনটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্যপদক জিতে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় আরচ্যারি দল। ক্রমান্বয়ে রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকী, নাসরিন আক্তারদের উন্নতিতে খুশী পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপও। তাদের ‘গো ফর গোল্ড’ প্রজেক্টের আওতায় কোন অলিম্পিকে কবে নাগাদ স্বর্ণ জেতার লক্ষ্য বাংলাদেশ আরচ্যারির, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা। তবে সেই পথকে প্রশস্ত করতে দেশব্যাপী আরচ্যারিকে ছড়িয়ে দিতে নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ফেডারেশন।
এ প্রসঙ্গে লে. জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আরচ্যারিকে বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করছি। প্রত্যেকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছি। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর-এই তিনটি বিশেষ দিবসেও টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা জেলাগুলোকে বলা হবে।’
এদিকে ৪৫ দলের ১৯৬ জন আরচ্যারের অংশগ্রহণে আগামী রোববার টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ১৩তম তীর জাতীয় আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। যার মধ্যে রিকার্ভে ৮৫জন পুরুষ ও ৫৯ নারী এবং কম্পাউন্ডে খেলবেন ৩০জন পুরুষ ও ২২ জন নারী আরচ্যার। দুই বিভাগে পুরুষ ও নারী একক, দলগত ও মিশ্র দলগতের দশটি ইভেন্টে ৩০টি পদকের জন্য লড়বেন আরচ্যাররা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন