বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সোনালি আসর

বসন্তকালের কোকিল আর সবকালের কাক

প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোকিল আমাদের একটি পরিচিত পাখি। এদের গায়ের বরণ কালোর ওপরে উজ্জ্বল নীল 

রঙের পোচ দেওয়া। বাঁকানো ঠোটের সবুজ রং। তাদের চোখটাও রক্তে লাল। লম্বা
লেজ। কোকিল ডাকে উঁচু ও সুরেলা কণ্ঠে। এদেরকে গ্রামবাংলায় নির্দিষ্ট
একটি সময়ে বেশী দেখা যায়। তাও আবার বসন্তকালে। কুউ-উ, কুউ-উ ডাকে বসন্তকে
এরা মাতিয়ে রাখে। বসন্তকালে দেখা যায় আমাদের ফুল বাগানগুলো জীবন্ত রূপ
নেয়। আর কোকিলের শুভাগমনটাও সে সময়। বসন্তের মাঝে ফুলের সাঝে কোকিলকে বেশ
মানায়। কোকিলকে ছাড়া যেন বসন্তকে কল্পনাই করা যায় না। কোকিল বসন্তের
সকালে গাছের সরু ডালে বসে মধুর কণ্ঠে, মিষ্টি সুরে সকলকে মুগ্ধ করে। এবার
বলব কাকের কথা। কাকও আমাদের খুব পরিচিত পাখি। এদের গায়ের বরণ ঘন কালো।
এদের ওষ্ঠ্য খুব শক্ত। কাক সারাদিন কা কা করে ডাকে। তাদের মধ্যে কেউ
বিপদে পড়লে দলে দলে ছুটে আসে সে স্থানে। এবং সমস্বরে কা কা করে এত জোরে
প্রতিবাদ করে যেন তাদের কিছু দাবি আছে। আর তা মানতে হবে। কাক কিন্তু
চালাক বটে। দেখবে গ্রামে যারা বাগান করে তারা কাকের অতিষ্ঠ থেকে বাঁচার
লক্ষ্যে কাকতাড়ুয়া নামে একটি দারুণ জিনিস বানিয়ে খেত খামারের মাঝে টাঙিয়ে
রাখে। শহর অঞ্চলে কাক কারেন্টের তাঁরে কিংবা দেয়ালের উপর বসে প্রকৃতির
ডাকে সাড়া দেয়। নিচে কেউ আছে না-নাই সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নাই। সব মিলিয়ে
কাক কোকিলের চেয়ে বহুগুণ চালাক দেখা যায়। তবে একটা যায়গায় কাক কিন্তু
কোকিলের সাথে বারবার হেরে যায় আর তা হল, কোকিল কাকের বাসায় গিয়ে ডিম পারে
আর কাক তা না চিনেই কোকিলের ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফুটিয়ে দেয়। দেখেছ কি
মজার বোকামির কা-। তবে তারা উভয়ই ভাল। উভয়ই ভাল বন্ধু।
মু. আব্দুল আজিজ নোমান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন