কয়েক বছর আগেও যে-শব্দটা আমাদের দৈনন্দিন অভিধানে ছিল না, সেটাই এখন আমাদের কাছে খুব পরিচিত। লকডাউন। বছর দুয়েক থেকে এই লকডাউনের যন্ত্রণা ভোগ করেছে মানুষ। সামনে চতুর্থ ঢেউয়ের ইশারাও যেন দেখা যাচ্ছে। আবার যাতে লকডাউনের কোপে না পড়তে না হয়, তার জন্য সতর্কতা সর্বত্র। ঠিক এমন সময়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অন্ধ্রপ্রদেশের এক গ্রামে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামে ঢোকার রাস্তায় লেখা আছে সতর্কবাণী। জানান দিচ্ছে– এ গ্রামে বাইরে থেকে আসা কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ। আর গ্রামের বাসিন্দারা যেন বাইরে পা না রাখেন। দেখে যেন মনে হয়, প্রশাসন কড়া লকডাউন জারি করেছে। কিন্তু না, এ তো গ্রামের মানুষদেরই সিদ্ধান্ত। আর সে সিদ্ধান্তের কারণটা নাকি পিশাচ। অর্থাৎ গ্রামে পিশাচ ঘুরছে– এ ভয়েই এখানে চলছে লকডাউন।
ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য রাতারাতি হয়নি। শ্রীকাকুলামের এই গ্রামটিতে বিগত কয়েকদিনে জনা চারেক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। প্রথমে জ্বর, তারপর তা থেকেই মৃত্যু। প্রতিবেশীদের পরপর মৃত্যুর দরুন গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, কোনো এক অশুভ আত্মা বা মাংসখেকো পিশাচ এই গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই দুষ্ট আত্মাই মেরে ফেলছে একের পর এক মানুষকে। যারা ঘরের বাইরে বেরোচ্ছে, তাদের ওপরই কোপ পড়ছে বলে মানুষের বিশ্বাস।
অসুখের কারণে নয়, এই মৃত্যু তাদের কাছে রহস্যময়। আর তাই বাইরে বের হওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। মূলত, কোভিডের মতো আতঙ্কই তাদের টেনে এনেছে এমন ঘরবন্দি অবস্থায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন