রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের ৩৩টি বাচ্চার জন্ম

ডি এম রেজা সোহাগ, খুলনা থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২২, ১২:০৪ এএম

পূর্ব সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজলে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা এর ৩৩টি বাচ্চা ফুটেছে। গতকাল শনিবার সকালে বাচ্চাগুলো ডিম ফুটে বের হয়েছে। ডিম থেকে বের হওয়া বাচ্চাগুলো কচ্ছপের জন্য তৈরি হ্যাচিং প্যানে রাখা হয়েছে।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, গত ৬ মার্চ একটি কচ্ছপ ৩৪টি ডিম পাড়ে। আমরা যথাযথ নিয়মে ডিমগুলোকে প্রাকৃতিক ইনকিউবেটরে রাখি। সেখান থেকে গতকাল ৩৩টি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। বাচ্চাগুলোকে হ্যাচিং প্যানে রাখা হয়েছে। এখানে ওগুলোর পর্যাপ্ত খাদ্য ও যত্নের ব্যবস্থা করা হবে। ৬ মাস পরে অন্য খাঁচায় নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও লালন-পালন কেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকা প্রকল্প চালু করা হয়। ২০১৭ সালে দুইটি কচ্ছপ ৩১টি ও ৩২টি ডিম পাড়ে। তা থেকে যথাক্রমে ২৮টি ও ২৯টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপ যথাক্রমে ২৬টি ও ২০টি ডিম পাড়ে। তা থেকে যথাক্রমে ৫টি ও ১৬টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চাই পাওয়া যায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা পাওয়া যায়। এসব বাচ্চা বর্তমানে কেন্দ্রে বড় হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩২৭টি ডিম থেকে ২৭৪টি বাচ্চা পাওয়া গেছে। বর্তমানে এই ৩৩টি বাচ্চাসহ বিভিন্ন বয়সী মোট ৩৮৭টি কচ্ছপ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাটাগুর বাসকা বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। বর্তমানে এ প্রজাতির কচ্ছপের উপস্থিতি প্রকৃতিতে নেই বললেই চলে। ২০০০ সালের দিকে বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে করেন, পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোনো অস্তিত্ব নেই। ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কী না তা খুঁজতে শুরু করেন। এরপর নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে আটটি বাটাগুর বাসকা পাওয়া যায়। যার মধ্যে চারটি পুরুষ ও চারটি নারী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা নিবিড়ভাবে লালন-পালন ও প্রজননের চেষ্টা করে বাটাগুর বাসকাগুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৪টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভাল সাড়া না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এখানে লালন-পালন শুরু হয় নিবিড়ভাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন